‘২২ বছরে সব নদীর খনন কাজ শেষ হবে’

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

দেশের সব নদীর খনন কাজ আগামী ২২ বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রকিবুল ইসলাম তালুকদার।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রকিবুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছরের মধ্যে ময়মনসিংহের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ সদর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটারে আটটি লটে ১৮টি কাটার সাকশন ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ চলছে। প্রকল্পের ক্যাপিটাল ড্রেজিং দুবছরে সম্পন্ন করে পরবর্তী তিন বছর গভীরতা সংরক্ষণ চেজিং করা হবে। করোনার কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা ধীরগতি ছিল। ৯০ কিলোমিটার খননের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের প্রায় ৬৬ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ময়মনসিংহ সদর থেকে জামালপুর পর্যন্ত আরও ৭৩ কিলোমিটারের খনন কাজ শুরু হয়েছে। যার অধিকাংশটাই শেরপুর ও জামালপুর জেলায় অবস্থিত। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার সংযোগ স্থলে কীভাবে খনন করা হবে, সেখানে কী পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হবে তার ডিজাইনের জন্য নেদারল্যান্ডের ডেলটা রেইস এবং আইডব্লিউএম ও সিজিআইএস সমন্বয়ে স্টাডি করা হচ্ছে। ওই স্টাডি শেষ হলে জামালপুর সদর থেকে যমুনার সংযোগস্থল পর্যন্ত খনন করা হবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের অধীনে ২১৬ লাখ ঘনমিটার মাটি খননে ব্যয় হয়েছে ২৮৯ কোটি টাকা। খননকৃত মাটি স্থানীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বসতি/নিচু জমির উন্নয়ন এবং সরকারি স্থাপনা/জায়গার উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, কবরস্থান, ঈদগাহ, হাট-বাজার, ইকো পার্ক, পার্ক ও ক্লাবকে প্রদান এবং নিচু জমি অধিক উৎপাদনমুখী করার জন্য বসতির আশেপাশের নিচু জমির উন্নয়ন করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এ জেড এম ইমাম উদ্দিন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউল করিম খোকন, বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং’র পরামর্শক শরাফত হোসাইন খানসহ বিআইডব্লিউটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।