মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে চলমান লকডাউন শিথিল করার পর বরিশালের অভ্যন্তরীণ সকল রুটে সকাল থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। আর সন্ধ্যার পর বরিশাল থেকে ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বরিশাল-ঢাকা রুটের যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে অতিরিক্ত লঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঢাকার যাত্রীদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০টি লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানান নৌ বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের উপ-পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে যাত্রী পরিবহনে যুক্ত হওয়ায় বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের লঞ্চগুলো ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করা হয়েছে। লঞ্চ চালু হওয়ায় নদী বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
তবে যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই যাত্রীরা চলাচল করতে পারছে। আর স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে দীর্ঘ ২২ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) কাউন্টার খোলার সাথে সাথে লঞ্চের আগাম কেবিন-টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।
চাহিদা অনুযায়ী আগাম টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে যাত্রীরা। আবার কেউ কেউ টিকিট পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, আগে আসলে আগে পাবেন এই ভিত্তিতে আগাম টিকিট বুকিং দিয়েছেন তারা।
আগের চেয়ে চাপ কিছুটা কম হলেও প্রথম দিনেই আগাম টিকিট বুকিং শেষ হয়ে গেছে।
একই রুটের এমভি সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, কাউন্টারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকিট বুকিং নিয়েছেন তারা। লঞ্চও চালানো হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে বলেছে।
স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে লঞ্চ পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই লঞ্চ চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে জানিয়ে বরিশালের উপ-পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সরকারি বিধি মানার ক্ষেত্রে তদারকি করা হচ্ছে।
পাশাপাশি লঞ্চে যাতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কোনো লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট মাস্টার এবং মালিকরা দায়ী থাকবেন। তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে যায় প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে।
সে হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতেও উভয় প্রান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।