২১ জুলাই ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা হবে বরিশালের দুই উপজেলা

:
: ২ years ago

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীনদের গৃহ ও জমি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে আগামী ২১ জুলাই কার্যক্রমের উদ্বোধণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

ওই দিন জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা এবং পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। এ উপলক্ষে বরিশাল বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) খোন্দকার আনোয়ার হোসেন, বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গৌতম বাড়ৈ, বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সুধীজন, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বরিশাল বিভাগকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে গৃহহীনদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ এবং তা যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রাপ্ত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য খাসজমি চিহ্নিতকরণ এবং প্রয়োজনে জমি ক্রয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বরিশাল বিভাগকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করা সম্ভব হবে।

বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, বিভাগে প্রথম পর্যায়ে ৬ হাজার ৮৮টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭ হাজার ১৫৩টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপ মিলিয়ে মোট ৮ হাজার ২৫০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।

যারমধ্যে বরিশাল জেলায় ৬৮৩টি, পটুয়াখালীতে ৪৪৯, ভোলায় ১ হাজার ২৯১, পিরোজপুরে ৬৯৯, বরগুনায় ২৭৬, ঝালকাঠিতে ১৫২টি ঘর রয়েছে। এরমধ্যে গত ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তৃতীয় পর্যায়ে ৩ হাজার ২১০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

আগামী ২১ জুলাই আরও ৩ হাজার ৫৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন, তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ১ হাজার ৪৯০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় তা আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের নির্মাণের ব্যয় বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫’শ টাকা। এছাড়া প্রত্যেক উপকারভোগীকে প্রদত্ত দুই শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হচ্ছে, যার বাজার মূল্য বরিশাল বিভাগে স্থানভেদে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, আগামী ২১ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১ হাজার ৮৫৬টি পরিবারের জন্য নির্মিতব্য গৃহ হতে কবুলিয়তসহ ৬৮৩টি গৃহ উপকারভোগী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এরমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় আটটি, বাকেরগঞ্জে ৫৯টি, মেহেন্দিগঞ্জে ১৪৫টি, উজিরপুরে ১৪১টি, গৌরনদীতে ৯২টি, মুলাদীতে ২০টি, বাবুগঞ্জে ৫৭টি, হিজলায় ৯০টি ও আগৈলঝাড়ায় ৭১টি গৃহ রয়েছে। অসমাপ্ত বাকি ৭২১টি গৃহ ও কবুলিয়ত সম্পাদনের কাজ দ্রুত সমাপ্ত করা হবে বলেও জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন।