প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার। এ নীতিমালায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম শ্রেণিতে ৬ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে হবে। সেই হিসেব ধরে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এতে আরও বলা হয়েছে, মহানগরী, বিভাগীয় শহর এবং জেলা সদরের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন, আবেদনের ফি নেওয়া ও ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে। আর উপজেলা সদরে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করবে। তবে নিয়ন্ত্রণবহির্ভুত কোনো কারণে এ পদ্ধতিতে কার্যক্রমে সফল না হলে কেবল উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তা ম্যানুয়ালি করতে পারবে।
ভর্তির আবেদন ফরম বিদ্যালয়েও পাওয়া যাবে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর/ জেলা প্রশাসক/ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট যদি থাকে সেখানে পাওয়া যাবে। ভর্তির আবেদন ফরম বিতরন ও জমার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে পরিস্কারভাবে তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে। আর তা জমা দিতে হবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে।
আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে পরীক্ষার্থীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সেঁটে দিতে হবে। আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় ফরমের নিচের অংশ রোল নম্বর দিয়ে প্রবেশ হিসেবে শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে। আর ওপরের অংশ এক বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সংরক্ষন করতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, ভর্তির জন্য আবেদন ফরমের দাম ১৭০ টাকা, সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ২০১৪ সালের পরিপত্র অনুযায়ী আদায় করা যাবে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য সুষ্ঠু আসন বিন্যাস ও পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যথাসম্ভব। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরীক্ষা নিতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং তাদের না পাওয়া গেলে নাতি নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। এই কোটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তির সময় মূল কপি প্রর্দশন করতে বলা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।