২০১৯ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

২০১৯ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন বছরে মোট ২২ দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি ও ৮ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি।

আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ছুটির এই তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মোট ছুটির মধ্যে তিন দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। ফলে কার্যত ১৯ দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। চলতি বছরে অবশ্য মোট ছুটির মধ্যে সাত দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল।

এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়  হচ্ছে
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি বিশেষায়িত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে। এটি এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস–সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করবে। এ জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও আচার্য হবেন রাষ্ট্রপতি। আর উপাচার্য হবেন কর্মরত এয়ার ভাইস মার্শাল, অথবা তাঁর ঊর্ধ্ব পদের কর্মকর্তা অথবা অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল অথবা তাঁর ঊর্ধ্ব পদের কোনো কর্মকর্তা। উপাচার্যের মেয়াদ হবে চার বছর।

আরও সিদ্ধান্ত
বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট গ্রহণের বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া বৈঠকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিবন্ধন) (সংশোধন) আইন, ২০১৮–এর খসড়া, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইনের খসড়া, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নীতিমালা-২০১৮ এবং জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা-২০১৮–এর খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, এই সময়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের ৭২ দশমিক ৬০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
বৈঠকের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৬৪টি আলোকচিত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রণীত একটি বই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ছাড়া পিপিপি অ্যাওয়ার্ডস, ২০১৮ এবং আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন যথাক্রমে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান।