২০০২-এর পুনরাবৃত্তির স্বপ্ন সেনেগালের

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আফ্রিকান দেশগুলো এমনই। এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। আবার হারিয়েও গেলাম। ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেয় সেনেগাল। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে চমকে দেয় ফুটবল বিশ্বকে। সেনেগালের আগে ১৯৯০ সালে ক্যামেরুন এবং ২০১০ সালে ঘানা আফ্রিকান দেশ হিসেবে নিজ নিজ প্রথম বিশ্বকাপের শেষ আটে উঠেছিল। কিন্তু নিয়মিত বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি তারা। দ্য লায়ন্স অব তেরাঙ্গা নামে পরিচিত সেনেগাল দ্বিতীয়বার ফুটবল মহাযজ্ঞে ফিরেছে এবার ১৬ বছর পর। এইচ গ্রুপে আজ মঙ্গলবার মস্কোয়  আফ্রিকান দেশটি গ্রুপ ফেবারিট পোল্যান্ডর মুখোমুখি হবে। তাদের লক্ষ্য, ২০০২-এর পুনরাবৃত্তির।

২০০২ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ‘৯৮-এর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক শুরু সেনেগালের। ডেনমার্ক এবং উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে তারা। সেখানে অতিরিক্ত সময়ের গোলে সুইডেনকে স্তব্ধ করে কোয়ার্টারের টিকিট কাটে সেনেগাল। তুরস্কের কাছে হেরে থেমে যায় দ্য লায়ন অব তেরাঙ্গাদের রূপকথা। আফ্রিকান অঞ্চল থেকে বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপ ‘ডি’ থেকে সেরা হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠে সেনেগাল।

বাছাইপর্বে শুরুতে একটু নড়েবড়ে ছিল তাদের অবস্থান। তবে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে ওঠার আনন্দে মেতে ওঠে অ্যালিও সিসের দল।  বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘এইচ’-এ সেনেগালের তিন প্রতিপক্ষ- পোল্যান্ড, কলম্বিয়া এবং জাপান। ইউরোপ, লাতিন এবং এশিয়ার তিন দেশের সঙ্গে লড়তে হবে সাদিও মানের দলকে। কাগজে-কলমে অনেক পিছিয়ে সেনেগাল।

কিন্তু দলটা আফ্রিকান বলেই আগেভাগে বাতিলের খাতায় রাখা যায় না। অতীত ইতিহাস অন্তত তেমনটাই বলছে। ফ্রান্সের মতো দলকে হারানো গেলে, উরুগুয়ে এবং ডেনমার্কের সঙ্গে ড্র করতে পারলে পোল্যান্ড, জাপান এবং কলম্বিয়াকে আটকানো যাবে না কেন?- এমনটাই ভাবছেন সেনেগালের ফুটবলপ্রেমীরা। বিচ ফুটবল অনূর্ধ্ব-২০ এবং মিনি ফুটবলে প্রথম আসরে দ্বিতীয় রাউন্ড কিংবা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গেছে সেনেগাল। ইতিহাস পক্ষে বলেই সেনেগালের সমর্থকদের বিশ্বাসটাও বেশি।

আর আফ্রিকান দেশটি স্বপ্ন দেখছে সাদিও মানে নামক লিভারপুলের এক তারকা আছেন বলেই। মিসরীয় মোহামেদ সালাহর পর এই মৌসুমে লিভারপুলের সেরা তারকা মানে। লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ওঠার পেছনে মানের অবদানও অনেক।