আগামী ১ সেপ্টেম্বর ফ্লোরেন্স নামের একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে আমাদের নীল গ্রহের দিকে। তবে ভয়ের কিছু নেই।
তার সঙ্গে পৃথিবীর কোন টক্কর লাগবে না। ফ্লোরেন্স ৪.৪ কিমি দৈর্ঘের এক দানবীয় গ্রহাণু। কিন্তু তা সত্ত্বেও পৃথিবীর এত কাছ দিয়ে এত বড় গ্রহাণু যেহেতু আর কখন যায়নি, তাই নাসা ও সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছেন এমন এক গ্রহাণুর আগমনের খবরে।
জানা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানী সিলেট বাস ১৯৮১ সালে প্রথম এই গ্রহাণুটিকে প্রত্যক্ষ করেন। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের নামানুসারে এই গ্রহাণুটির নামকরণ করা হয় ফ্লোরেন্স। শেষবার এই গ্রহাণু পৃথিবীর কাছে এসেছিল ১৮৯০ সালে। তবে পৃথিবীর পাশ দিয়ে গেলেও দূরত্বটা নেহাত কম নয়। ৭০ লক্ষ কিমি। তাই ভয়ের কিছু নেই। তবে বিজ্ঞানীরা তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখবেন বলে জানা গিয়েছে। আসলে ১ কিমির বেশি দৈর্ঘ্যের কোনও গ্রহাণু বা উল্কা যদি পৃথিবীর কাছ দিয়ে যায়, তা হলেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সচেতন থাকেন। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। যদি এমন কোন বৃহৎ আকৃতির গ্রহাণু আছড়ে পড়ে পৃথিবীর মাটিতে, তা হলে? নিশ্চিত ভাবেই তা হলে বড়সড় এক দুর্ঘটনা ঘটত। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে রাশিয়ার চেলিয়াবিন্সকে এক অতিকায় উল্কাপিণ্ড আছড়ে পড়ে। প্রায় ১০ হাজার টন ভরের ভারী ওই উল্কার আঘাতে ওই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সূত্র: এবেলা।