প্রায় দেড় বছর ধরে জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিরি মধ্যেই এমন বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ পেল।
পেন্টাগন প্রায় ১৮ মাস ধরে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার বিষয়ে গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। ট্রাম্প প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনীর ডজনখানেক কর্মকর্তার কাছ থেকে নেয়া সাক্ষাতের ওপর ভিত্তি করে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পর দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নেতা ছিলেন জেনারেল সোলেইমানি। কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার আগে কয়েক মাস ধরেই তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। অবশেষে ৩ জানুয়ারি ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এদিকে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে, জেনারেল সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। ওই হামলায় ‘ফতেহ-৩১৩ এবং ‘কিয়াম’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান। ইরাকে হামলা চালাতে কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তেহরান।