১৭ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস–বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।

শনিবার রাতে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি তালিকা দেওয়া হয়।

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের মহারাজগঞ্জ ক্যাম্পাসের ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন-এর সামনেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।

এক ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, হতাহত ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জনের মরদেহ শনাক্ত সম্ভব হয়েছে। নিহত অপর ৯ বাংলাদেশির লাশ শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট লাগবে। আর আহত ১০ জন নেপাল, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দূতাবাসের পক্ষ থেকে শনাক্ত হওয়া যে কয়জনের নাম দেওয়া হয়েছে তারা হলেন-  তানভিন তাহিরা শশী, মো. রাকিবুল হাসান, মো. রফিকুজ্জামান, আকতারা বেগম, মো. হাসান ইমাম, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, বিলকিস আরা, এস এম মাহমুদুর রহমান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল আহমেদ, সানজিদা হক বিপাশা, নুরুজ্জামান এবং শিশু অনিরুদ্ধ জামান ও তামারা প্রিয়ন্ময়ী।

এদিকে ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডা. রিজেন শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন,  এখনও যাদের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি তাদের ডিএনএ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শনাক্ত করা হবে।

বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউএস-বাংলার কর্মকর্তারা শনাক্ত করার কাজটি তদারকি করছেন। নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনরাও সেখানে উপস্থিত আছেন।

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আগুনে পুড়ে নিহতদের লাশ শনাক্তে সিআইডির দুই সদস্য এখন নেপালে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেই নমুনার সঙ্গে স্বজনদের নমুনা মিলিয়ে ডিএনএ প্রোফাইলিং তৈরি করা হবে।

গত ১২ মার্চ দুপুরে ঢাকা থেকে যাত্রা করা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি।

নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনের নাগরিক রয়েছেন। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা দিয়ে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।

ওই উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান ১০ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে আহত রিজওয়ানুল হককে বুধবার সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকার স্কুল শিক্ষক শাহরিন আহমেদকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। আর শুক্রবার দেশে ফেরেন মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি। সর্বশেষ শনিবার বিকেলে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় আহত রাশেদ রুবায়েতকে।