ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের প্রতি বরাবরই আগ্রহী বার্সেলোনা। কিন্তু বার্সেলোনা থেকে একাধিক খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে ডাকার ব্যাপারে বরাবরই একটু উদাসীন ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। এবার সেই খরা কাটল। সৌদি আরব ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে বার্সার তিন খেলোয়াড়কে ডেকেছেন ব্রাজিলের কোচ তিতে।

আগামী ১২ অক্টোবর সৌদি আরবে প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এর চার দিন পর সৌদি আরবেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে তিতের শিষ্যরা। কাল এ দুটি ম্যাচের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেন তিতে। এই স্কোয়াডে বার্সার তিন ব্রাজিলিয়ান ফিলিপ কুতিনহো, আর্থার মেলো ও ম্যালকমকে ডেকেছেন তিনি।

বার্সা থেকে ব্রাজিল সর্বশেষ কবে একসঙ্গে তিনজন খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিল, তা খুঁজে বের করতে ক্লাবটির পাঁড়ভক্তেরও ঘাম ছুটে যাওয়ার কথা। কারণ দু-এক দিন আগের কথা নয়, এমন ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছিল ১৪ বছর আগে।

২০০৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জার্মানির বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচের জন্য বার্সা থেকে রোনালদিনহো, হুলিয়ানো বেলেত্তি ও এডমিলসনকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছিল ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তারপর এবারই প্রথমবারের মতো কাতালান ক্লাবটি থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন একসঙ্গে তিন খেলোয়াড়।

থিয়াগো সিলভা ও ডগলাস কস্তাকে স্কোয়াডে রাখেননি তিতে। রক্ষণভাগে সিলভার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন বোর্দোর ডিফেন্ডার পাবলো। তিতের ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে পিএসজি থেকে ডাক পেয়েছেন দুজন—নেইমার ও মারকিনহো। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও এল সালভাদরের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দলে না থাকা ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে ডেকেছেন তিতে। কস্তার সুযোগ না পাওয়ার কারণ হিসেবে ব্রাজিলের এই কোচের যুক্তি, ‘চোট ও শৃঙ্খলাভঙ্গ।’ গত সপ্তাহে সিরি ‘আ’তে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মুখে থুতু মারার অপরাধে ইতালিয়ান লিগে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হন জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড।

ব্রাজিল স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: আলিসন (লিভারপুল), এডেরসন (ম্যানচেষ্টার সিটি), ফেলিপে (গ্রেমিও)। ডিফেন্ডার: অ্যালেক্স সান্দ্রো (জুভেন্টাস), মার্সেলো (রিয়াল মাদ্রিদ), দানিলো (ম্যানচেষ্টার সিটি), ফাবিনহো (লিভারপুল), মার্কুইনহোস (পিএসজি),মিরান্ডা (ইন্টার মিলান),পাবলো (বোর্দো), এডের মিলিতাও (পোর্তো)। মিডফিল্ডার: আর্থার (বার্সেলোনা), কাসেমিরো (রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্রেড (ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড), ফিলিপ কুতিনহো (বার্সেলোনা), রেনাতো অগাস্তো (বেইজিং গুয়ান),ওয়ালেস (হ্যানোভার)। ফরোয়ার্ড: এভারটন (গ্রেমিও), রবার্তো ফিরমিনো (লিভারপুল), গ্যাব্রিয়েল জেসুস (ম্যানচেষ্টার সিটি), ম্যালকম (বার্সেলোনা), নেইমার (পিএসজি), রিচার্লিসন (এভারটন)।