১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত দুই পুলিশ সদস্য

:
: ৭ দিন আগে

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গিয়ে বিবাদীর সঙ্গে পুলিশের এক এএসআই ও এক সদস্যের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ জুন) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন ভালুকা ফকিরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার পুলিশের ওই এএসআইয়ের নাম মো. নিজাম ও পুলিশ সদস্য হলেন মো. রাশেদুল ইসলাম। তারা উপজেলার পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন। আর অভিযুক্তরা হলেন- পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. রফিকুল আলম (৫০) ও তার ছেলে মো. শাকিল (২০। ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন বাবা-ছেলে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মো. শমসের আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে অভিযুক্ত রফিকুল আলমের শূন্য দশমিক ১৭৯ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে শাহীন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত নালিশ করেন। আদালত নালিশ আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৬ জুন ১৪৪ ধারা জারি করেন। শুক্রবার রাতে এএসআই নিজাম ও পুলিশ সদস্য রাশেদুল সেই ১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গেলে বিবাদী রফিকুল ও তার ছেলে শাকিলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে রফিকুলের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী শাহিদা খাতুন জানান, পুলিশ প্রথমে বাদীর বাড়িতে নোটিশ দেয়। এরপর সেখান থেকে এসে তাদের অকথ্যভাষায় গালাগালি করেন এবং তার ছেলেকে লাথি মারেন ও ধস্তাধস্তি-হাতাহাতি হয়। তার ভাষ্য, তারা পুলিশকে মারেননি, শুধু আত্মরক্ষা করেছেন।

চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. বসির উদ্দিন জানান, ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদীর ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থার জন্য ‍ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, এ ঘটনায় আমাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জড়িতদের ধরতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।