টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন রক্ষায় ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত বেড়িবাঁধের ঘোনাপাড়া পয়েন্টে ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বারপাখিয়া থেকে ঘোনাপাড়া পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদীতে ১ শত ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনমাস আগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বেড়িবাঁধটি মূলত ঘোনাপাড়াসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মাণ করা হয়। অথচ তিনমাস আগে বাঁধ নির্মিত হলেও তা এলাকাবাসীর কোনো উপকারেই আসলো না।
গত কয়েক দিনে ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার সকালে নির্মিত বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের তিল, পাটসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে নাগরপুরের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দি এসব মানুষ অভিযোগ করে বলেন, নদীর ভাঙন ও প্লাবন থেকে বাঁচতে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও তা আমাদের কোনো কাজেই আসলো না।
এদিকে হঠাৎ করে পানি ঢুকে পড়ায় গবাদি পশু ও ফসল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি এসব মানুষ।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বেড়িবাঁধের নিচের অংশের ব্লকগুলো সরে গিয়ে এবং নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধের উপর দিয়ে উঠে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এছাড়া মাটির তৈরি আরো একটি বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আপদকালীন সময়ে বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে পাথরের ব্লক ফেলে মেরামত করার উদ্যোগ নিয়েছি।