শনিবার সন্ধ্যায় ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে তিউনিসিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের তৃতীয় জয় এবং ১২ বছর পর পাওয়া। সবশেষ ২০১০ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে তারা সার্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। তার আগে ২০০৬ বিশ্বকাপে তারা জাপানকে হারিয়েছিল ৩-১ গোলে। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপে এসে জয় পেল তারা। এর আগে বিশ্বকাপে টানা সাত ম্যাচে হেরেছিল গ্রাহাম আর্নল্ডের শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের ২৩ মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন মিচেল ডিউক। পাল্টা আক্রমণে ডানদিক থেকে সতীর্থের বাড়িয়ে দেওয়া বল তিউনিসিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে আসে তার কাছে। তিনি হেডে বল জালে পাঠান।
অবশ্য গোল শোধ করার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল তিউনিসিয়া। বিশেষ করে অধিনায়ক ইউসেফ এমসাকনি। কিন্তু তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন। দ্বিতীয়ার্ধে তিউনিসিয়া তাদের টপ স্কোরার ওয়াহবি খাজরিকে মাঠে নামিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণব্যুহ ভাঙতে পারেননি তারা। তাতে ১-০ গোলর হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে কার্থেজ লায়ন্সরা।
এই জয়ে ১৬ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখলো সকারুরা। সবশেষ ২০০৬ সালে নকআউট পর্বে খেলেছিল তারা।
অবশ্য আজ দিনের অপর ম্যাচে ডেনমার্ক যদি ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় তাহলে নকআউট পর্বে যাওয়ার দারুণ সুযোগ তৈরি হবে অস্ট্রেলিয়ার। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই তারা টিকিট পাবে শেষ ষোলোর। আর আজ ফ্রান্সের বিপক্ষে ডেনমার্ক জিতে গেলে শেষ ম্যাচটি জিততেই হবে সকারুদের।
বুধবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।