২৯ নভেম্বর রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নৌযান শ্রমিকরা। ১১ দফা দাবি আদায়ে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা।
নৌযান শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলে জানা গেছে। এসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দাবি, নৌযান মালিক ও সরকার বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করায় তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এবার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না।
ফেডারেশনের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান, মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা প্রদান, নৌযান শ্রমিকদের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।
আন্দোলনকারীরা জানান, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ১১ দফা উপস্থাপন করা হলেও তাদের মূল দাবি ২০১৬ সালে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তারা তিনবার ধর্মঘটে গেছেন। প্রতিবারই শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করানো হয়। পরবর্তীতে মালিকরা দাবি মেনে নেন না।
তিনি বলেন, এবারো ধর্মঘট বন্ধ করতে বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সভা হয়। সেখানে অয়েল ট্যাঙ্কার মালিক ছাড়া অন্য নৌযানের মালিক প্রতিনিধিরা আসেননি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেডারেশনভুক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যাত্রীবাহীসহ সব নৌযানের মালিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈঠক হবে না। কোনো আশ্বাসও শ্রমিকরা মানবেন না।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল জেলা সভাপতি হাশেম মাস্টার বিডি ক্রাইমকে জানান, ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভ, লিফলেট বিতরণসহ নানাভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।