১০৩ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা, হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তানের কাছে

:
: ৭ years ago

টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের ক্ষত শুকানোর জন্য এর চেয়ে বড় কোনো দাওয়াই সম্ভবত পাকিস্তানিদের কাছে ছিল না। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সব কটি ম্যাচেই লঙ্কানদের দুরমুশ করেছে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে তো একেবারে দাঁড়াতেই দিল না। পায়ের তলার মাটি কেড়ে নিয়েছিল পাকিস্তানি বোলাররা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০৩ রানেই অলআউট লঙ্কানরা এবং তাদের পরাজয় ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

৫-০ ম্যাচের সিরিজে সবগুলোতেই পরাজয় শ্রীলঙ্কার। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ৫ ম্যাচের সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে জিতল পাকিস্তান। ২০০৮ সালে টানা দুই সিরিজে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়েকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এর মধ্যে গত ৯ বছরে মোট ১৬টি সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। কোনোটিতেই ৫-০ ব্যবধান করতে পারেনি। উল্টো অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল।

আগের ৪ ম্যাচ জিতে এমনিতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল পাকিস্তান। শেষ ম্যাচটি ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। এমন ম্যাচেও কি বিধ্বংসীরূপে পাকিস্তান। শুরুটা এমনভাবে করেছিল, যাতে মনে হচ্ছিল ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানেই কি না আবার অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। কারণ, মাত্র ২০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

সপ্তম ওভারের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার এই ৫ উইকেট একাই তুলে নেন বাম হাতি পেসার উসমান খান। প্রথম ওভারেই সামারাবিক্রমাকে সাজঘরে ফিরিয়ে শুরু করেন উইকেট নেয়া। এরপর তিনি থামেন গিয়ে সপ্তম ওভারে। এর মধ্যে লঙ্কান শিবির কাঁপিয়ে তুলে নেন ৫টি উইকেট। মাত্র ১৭ বলের ব্যবধানে এমন বিধ্বংসী বোলিং করলেন উসমান খান।

২০০১ সালের পর এমন বিধ্বংসী স্পেল মাত্র দুবার দেখা গেছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে চামিন্দা ভাস ১৬ বলের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন। আর ২০১৩ সালে হল্যান্ডের ফন ডার গুগটেন কানাডার পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন ১৯ বলের মধ্যেই। আজ গুগটেনকেও ছাড়িয়ে গেছেন উসমান।

উসমান খানের এমন বিধ্বংসী স্পেলের পর অবশ্য শ্রীলঙ্কা আর লজ্জার রেকর্ড করেনি। সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়নি। অলআউট হয়েছে ১০৩ রানে। শেষ দিকে থিসারা পেরেরা ২৫, সেকুগে প্রসন্ন ১৬ এবং লাহিরু থিরিমান্নের ১৯ রানের সুবাধে ১০৩ রান করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা। অলআউট হওয়ার আগে খেলেছে ২৬.২ ওভার।

জবাব দিতে নেমে ২০.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৪৮ রান করা ফাখর জামানের উইকেট হারাতে হয়েছে শুধু পাকিস্তানকে। ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইমাম-উল হক। ৫ রান করেন ফাহিম আশরাফ। ম্যাচ সেরা হন উসমান খান। এবং সিরিজ সেরা হলেন হাসান আলি।