রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিল তারকা মার্সেলো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নেইমারকে স্বাগত জানিয়েছেন। নেইমার ২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যান। কিন্তু প্যারিসে সুখে নেই ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। দল ছাড়তে চান তিনি। পিএসজি কোচও তা স্বীকার করেছেন। বার্সেলোনা তার জন্য বিভিন্ন দাম হাঁকছে। সঙ্গে দু’জন ফুটবলার। কিন্তু পিএসজি নগদ অর্থ চায়। এরআগে রিয়াল মাদ্রিদ নেইমারকে দলে আনার গুঞ্জনে গা ভাসালেও এখন সরে গেছে। তবে মার্সেলো মনে করেন, এডেন হ্যাজার্ডের চেয়ে ভালো ফুটবলার নেইমার। জাতীয় দলের সতীর্থ নেইমার যদি রিয়ালে আসেন তিনি স্বাগত জানাবেন।
মার্সেলো বলেন, ‘এডেন শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলার। দারুণ দক্ষ তিনি। নেইমারের মতো তারও সেরা পাঁচে থাকার যোগ্যতা আছে। তবে আমার কাছে হ্যাজার্ডের চেয়ে নেইমারই এগিয়ে। তারা দু’জনই অবশ্য দারুণ খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে তুলনাটানা কঠিন।’ মার্সেলোর মতে, হ্যাজার্ডের সেরা হওয়ার সুযোগ আছে। যদি তিনি তার গতি ধরে রাখতে পারেন তবে সেরাদের কাতারে যাবেন। কিন্তু নেইমার এরই মধ্যে সেই কাতারে চলে গেছেন।
নেইমার ২০১৩-১৭ মৌসুম পর্যন্ত বার্সার হয়ে খেলেছেন। ১৮৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১০৫টি। স্প্যানিশ এই ক্লাবের হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং কোপা ডেল রে’ জিতেছেন। পিএসজি গিয়ে দুই মৌসুমেই লিগ ওয়ান শিরোপা জিতেছেন। কিন্তু নেইমার এবং তার দলের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগ অধরা থেকেই গেছে। নেইমারের ইনজুরিও এর পেছনের একটা কারণ। তবে নেইমার আবার বার্সায় ফিরতে চাচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন। বার্সা ডি জং, অ্যান্তোনিও গ্রিজমানদের কিনলেও নেইমারের প্রতি ঝোঁক আছেন তাদের। কিন্তু পিএসজি বাতিল খেলোয়াড় রাকিটিচ, কুতিনহোদের দলে নিয়ে নেইমারকে দিতে চায় না।
এই ফাঁকে মার্সেলো তাই নেইমারকে দলে স্বাগত করছেন। যদিও রিয়াল মাদ্রিদও বেশ কিছু ফুটবলার কিনেছে। এদের মিলেতো, এডেন হ্যাজার্ড, লুকা জোভিক, ফারল্যান মেন্ডিদের দলে টেনেছে। মার্সেলোর চোখে এগুলো সমস্যা নয়। নেইমার সাবেক বার্সা তারকা। তাতেও কোন সমস্যা নেই, ‘নেইমার অপ্রতিরোধ্য ফুটবলার। তাকে রক্ষণভাগ কোন একটা বুদ্ধি দিয়ে তাকে আটকাতে যাবে সে তারমধ্যে ভিন্ন বুদ্ধি ফাঁদবে। রিয়ালে নেইমার থাকা হবে অনেক আনন্দের। তাকে দলে নেওয়ার জন্য রিয়ালের সবকিছু করা উচিত।’