হোয়াইটওয়াশ হয়েই গেল বাংলাদেশ!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

ভারতের দেরাদুনে সিরেজের শেষ ম্যাচে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে লজ্জা এড়ানোর এই ম্যাচে জয়ের প্রান্তে ছিল বাংলাদেশ। শেষ বলে বাংলাদেশের জয়ের জন্য চার রান দরকার ছিল। আরিফুল হক দারুণ শটও তুলেছিলেন। কিন্তু ফিল্ডারের সীমানায় পা লেগেছে কিনা তা নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকেই গেলো। ওই চার হলে অবশ্য জিতে যেত বাংলাদেশ। কিন্তু সিদ্ধান্ত গেল লং অনে দারুণ ফিল্ডিং করা শফিকুল্লাহর পক্ষে। সে বল থেকে ‍দু ‘রান নেবার পরে রান আউট হলে গেলেন আরিফুল। বাংলাদেশ হেরে গেল ১ রানে।

তার আগে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দুই ওভারে দরকার ছিল ৩০ রান। আফগান বোলারদের সামনে খাবি খেতে থাকা বাংলাদেশের জন্য এ রান কঠিন বলা যায়। কিন্তু দারুণ এক ইসিংস খেলা মুশফিক এক ওভারে নেন ২১ রান। ৩৭ বলে ৪৬ করার পথে ১৯তম ওভার থেকে নেন ওই রান। ওই ওভারের প্রথম পাঁচ বলেই মারেন পাঁচটি চারের শট। এরপর শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ৯ রান। কিন্তু প্রথম বলেই অাউট হয়ে ফিরে যান মুশফিক। পরের চার বল থেকে মাহমুদুল্লাহ ও আরিফুল নিতে পারেন মাত্র ৫ রান। শেষ বলে জিততে চার রান লাগে বাংলাদেশের। কিন্তু তারা নিতে পারল মাত্র ২ রান।

তার আগে আফগানদের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ম্যাচের মতো সিরিজের শেষ ম্যাচেও শুরুতে আউট হয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল। মুজিব উর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে করতে পারেন মাত্র ৫ রান। দলীয় ১৬ রানের মাথায় ২.৪ ওভারে আউট হন তিনি। তার পরে ব্যাটে নামেন সৌম্য সরকার। তিনি এক চার এবং এক ছয়ে ভালোর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন ১৩ বলে ১৫ রান  করে।

মুশফিক ব্যাটে আসার পরপরই সৌম্য যেভাবে আউট হন ঠিক একই রকমভাবে রান আউট হন লিটন দাস। তিনি করেন ১৪ বলে ১২ রান। ৩.৫ ওভারে মাত্র ৩৫ রান ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক বিপদে পড়া বাংলাদেশকে ভরসা দিতে পারেননি। বরং ৯ বলে ১০ রান করে ফিরে যান। ফেলে যান দলকে আরো বিপদে। সেখান থেকে সামাল দেন মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক। শেষ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহ ৩৮ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা নিয়ে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচ টি২০ র শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই। ওপেনার শাহজাদের ২২ বলে ২৬, অধিনায়কের ১৭ বলে ২৭ এবং সামিউল্লাহ সেনওয়ারির ২৮ বলে অপরাজিত ৩৩ রানে ভর করে ১৪৫ রান তোলে তারা। বাংলাদেশের পক্ষে নাজমুল অপু ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেন নেন। আবু জায়েদ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া সাকিব ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৬ রানে এক উইকেট দখল করেন। আফগানদের পক্ষে ৪ ওভার করে বল করে ২৪ ও ২৫ রানে একটি করে উইকেন নেন রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান।