আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেরাদুন থেকে দিল্লিতে ফেরে বাংলাদেশ। সেখানে যাত্রাবিরতি করে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে দেশে ফেরেন সাকিব-মুশফিকরা। দেরাদুনে বাংলাদেশ যা খেলেছে মুখ দেখানোর কথা না তাদের। তবে গণমাধ্যম কর্মীরা ছাড়ার বান্দা না। এমন ফলাফলের পরও তাদের অভ্যর্থনা জানাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু সবাইকে ফাঁকি দিয়ে অনেকটা চুপিসারে বিমানবন্দর ছাড়েন ক্রিকেটাররা।

তাদের মধ্যে আবার সবার আগে বেরিয়ে যান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরও দেখা মেলেনি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মেহেদী মিরাজদের পাওয়া গেলেও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি কেউই। তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজে বাজে পারফরম্যান্সের হতাশা পরিস্কার ফুটে উঠেছিল তাদের মুখে। তাদের পারফরম্যান্সের প্রভাব র‌্যাংকিংয়েও বেশ ভালো মতোই পড়েছে।

আফগানদের কাছে ৩-০-তে হারার পর র‌্যাংকিংয়ে দশম স্থানেই আছে বাংলাদেশ। তবে পাঁচটি রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে টাইগাররা। এখন তাদের পয়েন্ট ৭০। এগারো নম্বরে থাকা স্কটল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট ৬৬। ১২ ও ১৩ জুন এডিনবরায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টি২০ খেলবে স্কটিশরা। র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশকে হটিয়ে দশম স্থান দখল করে নিতে পারে স্কটল্যান্ড।

অবশ্য এ সিরিজের দুটি ম্যাচ হারলেও সুযোগ থাকবে তাদের সামনে। ১২ জুন থেকে নেদারল্যান্ডসে শুরু হতে যাচ্ছে তিন জাতি টি২০ সিরিজ। স্বাগতিক নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টুর্নামেন্টের আরেক দল স্কটল্যান্ড। ডাবল লেগের এ টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম ম্যাচ ১৬ জুন। ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনটি ম্যাচ জিততে পারলে তারা র‌্যাংকিংয়ের দশম স্থান দখল করে নেবে। টুর্নামেন্টের তিন দলের মধ্যে স্কটল্যান্ডের র‌্যাংকিং সবার ওপরে।

তাই পিছিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের কাছে সব ম্যাচ হেরে গেলে র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাবে স্কটিশরা। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টি২০ সিরিজ হারলেও টাইগারদের দশম স্থান হুমকিতে পড়ার সম্ভাবনা কম। আর সিরিজ জেতার পরও আফগানরা অষ্টম স্থানেই আছে। তবে তাদের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে চারটি।

আফগানদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অবশ্য উন্নতি হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের তালিকায় চার ধাপ এগিয়ে ৩৩তম স্থানে আছেন রিয়াদ। দেরাদুনে গতপরশু ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া মুশফিকুর রহিম তিন ধাপ এগিয়ে ৪১ নম্বরে আছেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাংকিংয়ে সবার উপরে আছেন সাব্বির রহমান (২১তম)। বোলিংয়ে সেরা কুড়িতে আছেন এ সিরিজে না খেলা মুস্তাফিজ (১১তম)।

তার পেছনেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হওয়া আফগান স্পিনার রশিদ খান শীর্ষস্থানটাকে আরও পোক্ত করেছেন। এ সিরিজে তিনি ৫৩ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। তার মোট রেটিং পয়েন্ট ৮১৪, দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানি স্পিনার শাদাব খানের সঙ্গে তার পয়েন্টের ব্যবধান ৮০! আর বাজে পারফরম্যান্সের পরও অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছেন সাকিব।