#

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বৃদ্ধ বাবাকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করলেন মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া। বিদেশ যাওয়ার আগে হেলিকপ্টারে বাবা জাকির মিয়াকে নিয়ে ঢাকায় যান আকাশ মিয়া।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রাম এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়েন বাবা-ছেলে।

 

বিদ্যালয় মাঠে দৃশ্যটি দেখতে গ্রামবাসী জড়ো হন। বাবাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে ওঠার আগে প্রবাসী আকাশ মিয়াকে গ্রামের মানুষ ও তাদের আত্মীয়স্বজনরা বিদায় দেন। এসময় তাদের সফরসঙ্গী হন আকাশ মিয়ার ছেলে জাহিদ মিয়া ও সমাজসেবক আশিকুর রহমান।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, আকাশ মিয়া আলফাডাঙ্গা উপজেলার জাটিগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে। প্রায় ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে মরিশাসে থাকেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার মরিশাস থেকে দেশে আসেন। বাবা জাকির মিয়ার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়া। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টার ভাড়া করে নিজ গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবার প্রবাস জীবনে ফিরে যান তিনি।

মিয়া রাকিবুল নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আকাশ মিয়া গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আসেন। সেই সঙ্গে বাবার স্বপ্নপূরণে তাকেও সঙ্গে নিয়েছেন।

 


স্থানীয় সমাজসেবক আশিকুর রহমান বলেন, করোনা মহামারির সময় আকাশ মিয়া হতদরিদ্র ৫ শতাধিক পরিবারের তালিকা তৈরি করেন। এরপর ‘খাদ্য সহায়তা’ নামক কার্ড তৈরি করে প্রায় দুই বছর ধরে প্রতি মাসে পাঁচ কেজি করে চাল দেন। ঈদের সময় সেমাই-চিনি থেকে শুরু করে গরুর মাংস পর্যন্ত বিতরণ করেন। সেই সঙ্গে নতুন পোশাকও উপহার দেন তিনি।

প্রবাসী আকাশ মিয়া বলেন, আমার বাবার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়া। বাবার প্রতি ভালোবাসা এবং তার স্বপ্ন পূরণ করতেই এ উদ্যোগ। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে নিজের কাছেও বেশ ভালো লেগেছে।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান বলেন, আকাশ মিয়া একজন মানবিক গুণাবলির মানুষ। বাবার স্বপ্ন পূরণ করা প্রত্যেক ছেলের কর্তব্য। আকাশ মিয়া তার বাবার স্বপ্ন পূরণে এমন উদ্যোগ নেন।

 

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন