হেফাজতের আমির বাবুনগরী, মহাসচিব কাসেমী

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

কওমি অঙ্গনের নেতৃত্বের ওপর ভর করে গড়ে ওঠা সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন নূর হোসাইন কাসেমী।

রোববার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় আয়োজিত হেফাজতের সম্মেলনে তারা এ দায়িত্ব পান।

জুনায়েদ বাবুনগরী আগে সংগঠনটির মহাসচিব ছিলেন। নূর হোসাইন কাসেমী সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাবুনগরী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার প্রধান শায়খুল হাদিস ও নাজিমে তালিমাত (শিক্ষা পরিচালক)। নূর হোসাইন কাসেমী ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার প্রিন্সিপাল।

 

সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জী এবং যুগ্ম-মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবীব, মামুনুল হক, নাসির উদ্দিন মনির ও মীর ইদ্রিস নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্মেলনে সংগঠনের মোট ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপদেষ্টা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন ২৫ জন, নায়েবে আমির পদে ৩২ জন, যুগ্ম-মহাসচিব পদে সাতজন ও সহকারী মহাসচিব পদে ১৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

 

হেফাজতের আমির নির্বাচিত হয়ে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘আমি এ পদ গ্রহণ করতে চাইনি। মুরুব্বিরা জোর করে এ দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন এ দায়িত্ব পালন করতে পারি।’

অনুষ্ঠান শেষে হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহর এক সমর্থক তাদের (আল্লামা শফীপন্থী) কেন পদ দেয়া হয়নি- তা জানতে চাইতে গেলে সম্মেলনস্থলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

এদিকে হেফাজতের গত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দিন রুহী তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আজকের সম্মেলন গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। গত কমিটির প্রায় ৫০ জন সদস্য আজকের সম্মেলনে দাওয়াত পাননি। আমরা এ কমিটি মানি না। আজ বিকেলে বসেই আমরা এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করব।