হেনরী স্বপন ইস্যুতে এক যুবদল নেতার বরিশাল অশান্তের চক্রান্ত ফাঁস

:
: ৫ years ago

স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশালে গত সপ্তাহে ঘটে গেল এক নীরব বিল্পব।যে খ্রীষ্টান ফাদাররা অহিংস হিসেবে পুরো পৃথিবীতে পরিচিত সেই যাজকদের সহিংস হয়ে মামলাবাজ রুপ নেয়া নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে বরিশাল সংস্কৃতি ও মিডিয়াপাড়ায়।মিডিয়া অঙ্গনে নিরীহ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত কবি,সাংবাদিক ও মুক্তমনা লেখক হেনরী স্বপন যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক হন ঠিক তখনি আতঙ্ক কাটিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে বরিশালের সংস্কৃতি কর্মী ও সাংবাদিকরা।হঠাত অশান্ত হয়ে পড়ে শান্ত বরিশাল।

সাংবাদিকদের সাথে সৃষ্টি হয় প্রশাসনের সাথে দুরত্ব।এমনকি কেপে ওঠে ঢাকার শাহবাগ পর্যন্ত।যদিও অশান্ত বরিশাল শান্ত হয় বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর কৌশলী ও দৃঢ়চেতা ভুমিকার ফলে।আমাদের একটি অনুসন্ধানী টিম খুজে বের করেছে হেনরী স্বপন আটক ও তার পেছনে ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কাহিনী।সবকিছুর পেছনে কাজ করেছে এক যুবক তার নাম এলবার্ট রিপন।তিনিই বিভিন্ন ভাবে ফুসলয়ে ক্যথলিক চার্চ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে স্বপনের বিরুদ্ধে মামলা করান।অথচ মজার বিষয় হলো রিপন ক্যথলিক অনুসারী নন।তিনি অক্সফোর্ড গির্জার অনুসারী।

এই যুবক ক্যথলিক চার্চে কখনও নিজেকে আইন উপদেষ্টা আবার কখনওবা খ্রীষ্টান নেতা দাবী করেন।তিনি রাজনৈতিকভাবে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদলের সম্পাদকীয় পদে ছিলেন।িবষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর যুবদলের সভাপতি আকতরুজ্জামন শামীম।পাশাপাশি বিএনপির অপর একটি সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খীর্ষটান কল্যান ফ্রন্টের বরিশাল নগর শাখার সহসভাপতি এ যুবক।যদিও মহানগর সভাপতি সুমন হালদার পদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও রিপন এখন তাদের সাথে সক্রিয় নয় বলে জানান।এই যুবকের রাজপথ গরম এবং বরিশালের মেয়র ও প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

রাজনৈতিকভাবে বরিশালে মুখথুবরে পড়া বিএনপির কাছ থেকে বাহবা নিতে নিজে হিরো সাজতে গিয়েছিলেন।বলাবাহুল্য তার সাথে হেনরী স্বপন সহ মামলার অপর আসামীদের রয়েছে জমিবিরোধ।কিন্তু তিনি জমি বিরোধ আর সমালোচনার জের মেটাবেন ধর্মের ডামাডোলে। মামলায় আরও দুজন আসামি করা হয়েছে-যারা প্রসিদ্ধ লেখক নন। এদের একজন ভিডিও সাংবাদিক জুয়েল সরকার। বাকিজন জুয়েল সরকারের ভাই। কথা হলো ধর্ম নিয়ে নাড়াচাড়া করেছেন হেনরী স্বপন। তাহলে এরা কেন হলো আসামী? ওই যে জমি বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে জুয়েল সরকারের পরিবারের সাথে জমি বিরোধ চলে আসছিলো এ্যালবার্ট রিপন বল্লভের।

সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা জমি বিরোধ নিয়ে হেনরী স্বপন, জুয়েল সরকার ও তার ভাই আলফ্রেড সরকারের বিষয়ে খ্রিস্টান এ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যালবার্ট রিপন বল্লভের সাথে কথা হয়। যখন উভয় পক্ষের মধ্যে মানসিক উত্তেজনা তুঙ্গে তখন বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা চালিয়েছিলেন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন। এ্যালবার্ট রিপনকে জানিয়েছিলেন-উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার জন্য। তখন রিপন বল্লভ, ব্রিটিশ হাইকমশিনারের বরাত দিয়ে বলেছিল-হেনরী স্বপনের বিষয়ে হাই কমিশনারকেও জানানো হয়েছে।এই রিপন বল্লভ কখনও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।

বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় বরিশাল প্রেসক্লাবের এক সদস্য ও ঐ পত্রিকার সম্পাদককে ব্যবহার করে পত্রিকায় উল্লেখিত তিনজনের বিষয়ে ঢালাওভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে গেছেন।যদিও হেনরী স্বপন ইস্যুতে ঐ সম্পাদককে অনেকবার সিনিয়র সাংবাদিকরা রিপনকে নিবৃও করতে অনুরোধ জানালেও তিনি রিপনের সাথে তার এখন কোন সম্পর্ক নেই দাবী করে তিনি এড়িয়ে গেলেও তার সম্পৃক্তার বিষয়টিও পাওয়া গেছে।এই যুবক তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে ব্যবহার করলেন চার্চকে আর প্রশাসনকে।

যদিও কোতয়ালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম দাবী করেছেন এই রিপনকে তিনি চেনেন না।চার্চের ফাদারদের অনুরোধে এবং উপর মহলের নির্দেশনায় এ মামলাটি হয়েছিল।তবে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিচক্ষন ভুমিকায় এ যাত্রায় বরিশাল শান্ত হলেও এই যুবদল নেতার ষড়যন্ত্র এখনি বন্ধ না করা গেলে হয়ত বরিশালে সামাজিক ও সুশীল সমাজ এক সময় খ্রীষ্টানদের চার্চের বিপক্ষে দাড়াবে।যা সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।