হিলটন ভেবে কবর দেওয়া হয় আলমকে, ৭ মাস পর মরদেহ উত্তোলন

:
: ৮ মাস আগে

বাগেরহাটের মোংলায় হিলটন নাথ ভেবে কবর দেওয়া হয় মাহে আলম নামে এক ব্যক্তির মরদেহ। তারা দুজনেই চলতি বছর এপ্রিল মাসে মোংলা থেকে নিখোঁজ হন। ওই একই মাসে সুন্দরবনে পাওয়া যায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ। হিলটন নাথের মা বিথীকা নাথ মরদেহটি নিজের ছেলে দাবি করে পুলিশের কাছ থেকে এনে কবর দেন। পরবর্তীতে মাহে আলমের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনএ টেস্টে জানা যায়, মরদেহটি মাহে আলমের।

 

আদালতের নির্দেশে সোমবার (২০ নভেম্বর) কবর থেকে মাহে আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেলা ১১টায় মোংলা উপজেলার চিলা এলাকা থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার ও মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দিনের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তোলন করা হয়। বিকালে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

৮ নভেম্বর হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহ উদ্ধার করে মাহে আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

 

গত ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চিলা এলাকার হিলটন নাথ। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের দাবির প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা মরদেহটি তার কাছে হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ হত্যার বিষয়ে খুলনার দাকোপে এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় দুটি মামলা হয়।

পরে নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবির প্রেক্ষিতে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত হিলটন হিসেবে সমাহিত মরদেহটির ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গেল ১ আগস্ট প্রকাশিত ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় অজ্ঞাত মরদেহটি মাহে আলমের। তবে সুন্দরবনে নিখোঁজ হিলটন নাথের কী হয়েছে তা জানা যায়নি।

 

মাহে আলমের ছেলে সোহেল রানা বলেন, ‘সোমবার বেলা ১১টায় আমার বাবার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সকলের উপস্থিতিতে পুলিশ আমাদের কাছে বাবার দেহ হস্তান্তর করেছে। মুসলিম রীতি অনুযায়ী জানাযা শেষে বাবাকে দাফন করা হয়েছে।’

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করেছি। মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহ উত্তোলন শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে।’