#

আলোচিত ‘বাবু খাইছো’ গানের শিরোনাম, কথা, সুর চুরি ও বিকৃত করার অভিযোগে হিরো আলম ও আতাউর রহমান মমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত সংস্থা সিআইডি। তবে সিআইডির দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন মামলার বাদী সোলস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য ও সংগীত পরিচালক মীর শাহরিয়ার মাসুম।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি এ মামলায় প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি উপ-পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন উল্লেখ করেন। মামলার বাদী প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে আদালতকে জানান। আদালত এ বিষয় শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, বাবু খাইছো শিরোনামের দুটি গানের শুধুমাত্র বাবু খাইছো শব্দ ছাড়া গানের অন্যান্য কথা ও সুরের মধ্যে হুবহু কোনো সাদৃশ্য পাওয়া যায়নি। প্রকাশিত গানের বাবু খাইছো শিরোনামের জন্য গানটি জনপ্রিয় হয়েছে।

এ দুটি শব্দ, উপস্থাপনের প্রকাশভঙ্গি ও সুর সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় পরে প্রকাশিত গানের জনপ্রিয় অংশের কপি করা হয়েছে। বাবু খাইছো শব্দের প্রাধান্য দিয়েই গানটি পরিবেশিত হয়েছে মর্মে কপি রাইট বিশেষজ্ঞের মতামত থেকে জানা যায়। তবে কপিরাইট আইন-২০০০ এর ৬০ ধারায় কোনো কর্মের কপিরাইট রেডিস্ট্রেশন করা হলে ওই কপিরাইট সনদ সব আদালতের মূল দলিল বা মূল কপির উপস্থাপন ব্যতীত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করা হলেও মামলার বাদী কিংবা বিবাদীদ্বয় কেউ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন দাখিল করেনি।

কারও নামে কপিরাইট সনদ ইস্যু করা হয়নি মর্মে তদন্তে প্রতীয়মান হয়। তাই সার্বিক তদন্তে বাদী মীর শাহরিয়ার মাসুম কর্তৃক বিবাদী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ও আতাউর রহমান মমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২২(২)/২৩ (২)/২৪ (২) ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

এর আগে রোববার (৬ ডিসেম্বর) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হিরো আলম ও আতাউর রহমান মমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মীর শাহরিয়ার মাসুম বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, সম্প্রতি আলোচনায় আসা ‘বাবু খাইছো’ গানটি মীরের সুরে লিখেছেন ও গেয়েছেন তারই ছোট ভাই ডিজে মারুফ। এটি ৫ সেপ্টেম্বর ঈগল মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশ হয়। এরপর ইউটিউব, ফেসবুক হয়ে জনপ্রিয় ও ভাইরাল হয় গানটি। গানটির মাধ্যমে সাম্প্রতিক প্রেমিক-প্রেমিকাদের কিছু অসঙ্গতি বা কালচার মজারছলে তুলে আনেন মীর ব্রাদার্স।

এ গানটির সাফল্য দেখে হিরো আলমও তার অনুকরণে নিজের গানটি তৈরি করেছেন। মীর ব্রাদার্সের অভিযোগ, গানটির শিরোনাম, চুম্বক অংশ ও সুর হুবহু নকল করেছেন হিরো আলম। তাদের আরও দাবি, এ গানটি তৈরির মাধ্যমে মূল গান, শিল্পী ও শিল্পের মানহানি করেছেন হিরো আলম।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন