বর্তমান সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, হতে দেবে না তারা। দেশের সম্পদ যেমন তারা লুটে খাচ্ছে, তেমনি নির্বাচনেও তারা সব আসনই চায়। এমনকি, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে সরকার তা আবারও প্রমাণ করলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন। সমাবেশ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন তিনি।
সদ্য অনুষ্ঠিত বগুড়ার উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, হিরো আলমের যতটা গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা আছে, এই সরকারের তাও নেই। এই নির্বাচনে প্রমাণ হলো, আওয়ামী লীগ হিরো আলমের গ্রহণযোগ্যতার ধারেকাছে নেই। সে কারণে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদ্য পদত্যাগ করা ও পরে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত আবদুস সাত্তার উকিল স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে গেছেন এবং বিজয়ীও হয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগ তাকে নিজের লোক মনে করছে। সাত্তার উকিলকে বিজয়ী করে আনার জন্য তার প্রতিপক্ষকে আওয়ামী লীগের লোকজন গুম করেছে। এটা সারা দেশ তথা বিশ্ববাসী জানে। এমনি অবস্থা বর্তমান সরকারের।
উল্লেখিত দুই ঘটনার উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, ‘এরপরও আপনাদের মনে হয়, এই সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? হতে পারে?’ এসময় উপস্থিত হাজারো মানুষ সবাই সমস্বরে জবাব দেন, ‘না হবে না’।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, কত আর কথার জোরে, চাপার জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন? কত আর মিথ্যা কথা বলে মানুষকে প্রতারিত করবেন?
আপনারা জানেন, চাল ডাল তেলের দাম কত? গ্যাস সিলিন্ডারের দাম একবারে ২৬৬ টাকা বেড়েছে।
মির্জা ফখরুল আইএমএফের কাছ থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রসঙ্গ বলেন, সরকার উন্নয়নের নামে ঋণ গ্রহণ করছে। উন্নয়নের জন্য অবশ্যই ঋণ নিতে হবে, ঋণ নিতে হয়। কিন্তু তারা এই ঋণের টাকা পাচার করে কানাডার বেগমপাড়াতে বাড়ি তৈরি করে, ইংল্যান্ড গিয়ে ফ্ল্যাট কেনে, মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম করে। তাহলে সেই ঋণের টাকা বাংলাদেশের মানুষ পরিশোধ করবে কেন?