হার্ড ডাইভ-ল্যাপটপ নিয়ে গেছে পুলিশ, উল্লেখ নেই সিজার-লিস্টে

:
: ৪ years ago

কক্সবাজারের হিমছড়ির যেখানে থাকতেন সাবেক মেজর সিনহা, সেই নীলিমা রিসোর্টের সুপারভাইজার এর কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেয় পুলিশ। সিনহার কটেজ থেকে ল্যাপটপ ও হার্ডড্রাইভও নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি রিসোর্টের কর্মীর।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে তিন সঙ্গীসহ থাকতেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা। মাসে ৭০ হাজার টাকা ভাড়ায় ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে দুই মাসের জন্য এখানে উঠেছিলেন তিনি।

রিসোর্টের একজন কর্মী জানান, অমায়িক ব্যবহারের সিনহা রাশেদ ঘটনার ৫ দিন আগে এখানে জন্মদিন পালন করেন।

৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্ট সিনহা রাশেদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর রাত বারোটার দিকে সিনহাদের কটেজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখন কটেজে ছিলেন সিনহার দুই সহযোগী শিপ্রা ও নুর।

রিসোর্ট কর্মীরা জানান, এসময় সিনহার নিহতের তথ্য গোপন করে পুলিশ। যদিও ততক্ষণে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সিনহাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

রিসোর্ট কর্মী জানায়, এসপি মশিউর রহমান, হিমছড়ির আতিক, শফিসহ আরো দু-একজন ছিল। দুদিন পরে আবার এসে তারা আমার কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক সই নিয়ে যায়।

রিসোর্ট কর্মীরা আরও জানান, কটেজ থেকে পুলিশ কম্পিউটারের তিনটি হার্ডডিস্ক, একটি ল্যাপটপ ও একটি কম্পিউটার নিয়ে যায়। তবে রামু থানার মামলার আলামতে এগুলো জব্দ করার কথা উল্লেখ করেনি পুলিশ। এছাড়া হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লোকমান আরেকদিন এসে সাদা কাগজে সই নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন রিসোর্ট এর সুপারভাইজার।

রিসোর্ট এর সুপারভাইজার বলেন, কম্পিউটার, পিসিও, হার্ডডিস্ক, র‍্যাম, জুতা ও রেজিস্টার বইও নিয়ে যায়।

সিনহার কটেজ দেখতে চাইলে রিসোর্টের সুপারভাইজার অনুমতি নিতে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে ফোন দেন কিন্তু অনুমতি মেলেনি। একটু পরেই সাদা কাগজে সই নেয়ার বিষয়ে জানতে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে ফোন দিলে তিনি ধরেননি। পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে। রামু থানার ওসিকে ফোন দিয়েও সাড়া মেলেনি।