শামীম আহমেদ ॥ ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তৃতীয় দফায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে।এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের। মামলার আসামীরা হলো-ওই ইউনিয়নের পূর্ব বেজহার গ্রামের মৃত আনোয়ার রাঢ়ীর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ও সরকারী ভূমি অফিসের পিয়ন রাসেল রাঢ়ী, তার ভাই আগৈলঝাড়া খাদ্য অফিসের উপসহকারী খাদ্য পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম রাশেদ, একই গ্রামের করিম তালুকদার, মিলন তালুকদার, রাজীব রাঢ়ী, মাসুদ রাঢ়ী, হাজীপাড়া এলাকার জুয়েল হাওলাদার, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আনোয়ার সিকদার, পূর্ব বেজহার গ্রামের রবিন হাওলাদার, বাহাদুরপুর গ্রামের কাজল মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।
মামলার এজাহার ও আহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহর জেষ্ঠ পুত্র যুবলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টু দীর্ঘদিন থেকে বালুর ব্যবসা করে আসছিলো।
তার (পিন্টু) বালুর ব্যবসা নিজেদের করে নেয়ার জন্য রাসেল রাঢ়ী ও তার সহযোগীরা পিন্টুর সহযোগী ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিনকে অতিসম্প্রতি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২৯ জুন সকালে মাহিলাড়া বাজার এলাকায় বসে যুবলীগ নেতা পিন্টু গুহর পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে।
এ ঘটনায় আহত যুবলীগ নেতার মা তাপসী গুহ বাদি হয়ে বুধবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে রাসেল রাঢ়ীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।