হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে পৌছেছে, আহাজারিতে পুরো এলাকা নিস্তব্ধ

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

হাদিসুরের এমন ফেরা মেনে নিতে পারছে না পরিবার। পরিবারের সদস্যদের আর্তনাদ ভারি করে তুলেছে পুরো এলাকা। তাঁর লাশ বাড়িতে ফিরেছে রাত ৯ টা ৪৫ মানিটে। এসময় স্বজনদের আর্তনাদে বাড়ির পুরো পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।

 

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে হামলার কবলে পড়া বাংলাদেশি ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের মরদেহ নিজ বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে পৌঁছেছে। সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে লাশ এসে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাদিসের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স।

 

হাদিসুরের মেজো ভাই তরিকুল ইসলাম জানান, আমার বড়ই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি। আমি এবং আমার ছোট ভাই যাতে চাকরি পেতে পারি এজন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।’

 

এর আগে, দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে হাদিসুরের লাশবাহী টার্কিশ এয়ারের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাদিসের মরদেহ গ্রামের বাড়ি বেতাগীর উদ্দেশে রওনা হয়।

বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসাশিক্ষক আবদুর রাজ্জাকের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে হাদিসুর ছিলেন মেজ। পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাদিসের মরদেহ আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। হাদিসুরের ছোট চাচা জসিম হাওলাদার বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাদিসের দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।’

 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, ‘পরিবারের দাবি ছিল হাদিসুরের লাশ অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে পাওয়া। প্রধানমন্ত্রী সেই আশা পূর্ণ করেছেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘হাদিসুরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।’

 

হাদিসুর রহমান ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। জাহাজটি তুরস্ক থেকে রওনা হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর জলসীমায় নোঙর করে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে অলভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।