হাথুরুসিংহে-গাজী আশরাফের সাক্ষাৎ

:
: ৪ মাস আগে

লম্বা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফিরেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে অ‌্যাওয়ে সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়াতে পরিবারের কাছে গিয়েছিলেন ছুটিতে। মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম সিরিজ। এই সিরিজের আগে দলের দায়িত্ব নিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফেরেন হাথুরুসিংহে।

 

হেড কোচ শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসেন বিপিএলের খেলা দেখতে। দুপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশালের ম‌্যাচটি দেখেছেন। খেলা দেখার সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে জাতীয় দলের নবনিযুক্ত নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর। পহেলা মার্চ গাজী আশরাফ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচকের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দুজনের সাক্ষাৎ কেবলই ছিল সৌজন‌্যতার। দল নিয়ে তারা খুব একটা কথা বলেননি বলে জানা গেছে। সামনে পর্যাপ্ত সময় আছে বলেই দুজনের আজকের আলাপ আলোচনা ছিল শুধুই নিজেদের নিয়ে।

হাথুরুসিংহে এর আগে দুজন নির্বাচকের সঙ্গে কাজ করেছেন। তার প্রথম মেয়াদের শুরুতে ফারুক আহমেদ ছিলেন প্রধান নির্বাচক। যার সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা জমেনি। দল নিয়ে হস্তক্ষেপ করায় পরবর্তীতে ফারুক আহমেদ দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ওই পদে পরে আসেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ২০১৭ সালে যেবার বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়েন তখনও মিনহাজুল ছিলেন প্রথম নির্বাচক। ২০২৩ সালে যখন দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখনও স্বপদে। তার সঙ্গে হাথুরুসিংহের বেশ সুসম্পর্ক ছিল।

 

গাজী আশরাফ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই হাথুরুসিংহের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে। কেননা দল নির্বাচনে হাথুরুসিংহে হস্তক্ষেপ করতে পছন্দ করেন। গাজী আশরাফ তাকে সেই সুযোগটি দেবেন কিনা সেটাই দেখার।

বিদায়ী প্রধান নির্বাচক যাবার আগে বলেছিলেন, ‘যে-ই দায়িত্বে আসুক না কেন, আমাদের স্টাইলে কাজ করতে হবে।’ বেশ তিক্ততা নিয়ে কথাটা বলেছিলেন। কেননা স্বাধীনভাবে তিনি কাজ করতে পারেননি। ছিল দল নির্বাচনের দ্বিস্তর নীতি। দল নির্বাচন নিয়ে সব সময়ই তাকে কোচ হাথুরুসিংহের কথা শুনতে হয়েছে। ফলে নিজের চাওয়া অনেক সময় চাইলেও পূরণ করতে পারেননি মিনহাজুল।

 

প্রথমবারের মতো নির্বাচক পদে আসা গাজী আশরাফ কোন স্টাইলে কাজ করবেন? জানতে চাওয়া হলে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি বলেছিলেন, ‘আমি কোন স্টাইলে কাজ করব বা করতে পারব নাকি পারব না, এটা সময়ই বলে দেবে। ভালো কিছুর সঙ্গে আপোস করতে কখনোই দোষ নেই, যদি সেটা বৃহত্তর স্বার্থে হয়। সেই ইগো নিয়ে কখনোই চলব না। কেউ যদি আমার চেয়ে ভালো কোনো পরামর্শ দেয় এবং সেটা যদি দলের জন্য ভালো হয়, তাহলে মোস্ট ওয়েলকাম। পাশাপাশি আমাদের যে কাজটা, সেই জায়গায় যদি স্বাধীনতার খর্ব হয়, তাহলে সেটা আপত্তিজনক।’