হাকালুকি হাওরের বিলে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

অতিসংকটাপন্ন প্রজাতির মাছটির শরীরে বাঘের মতো ডোরাকাটা। তাই অনেকে এটিকে ‘বাঘ’ মাছ বলে থাকেন। কিন্তু এটির কেতাবি নাম বাঘাইড়। প্রায় ২০ কেজি ওজনের এ মাছটি আজ শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের একটি বিলে ধরা পড়ে। বিক্রির জন্য সন্ধ্যায় জুড়ী উপজেলা সদরে মাইকিং করা হয়। খবর পেয়ে উৎসুক লোকজন মাছটি দেখতে ভিড় জমান। বিক্রেতা দাম হাঁকেন ৩৫ হাজার টাকা।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা সদরের ডাকঘর সড়ক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৫০ থেকে ১০০ জন বিভিন্ন বয়সী লোক মাছ বিক্রেতাকে ঘিরে আছেন। তাঁদের কেউ কেউ মোবাইলে মাছের ছবি তুলছেন। কেউ হাঁকছেন দাম।

স্থানীয় মুদিদোকানদার ইলিয়াছুর রহমান বলেন, ‘১২ হাজার দাম করছি। দেয় না। এর বেশি টেকায় বেচত পারত নায়।’

ছবি তোলার সময় অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ব্যবস্থাপক আলাল আহমদ বলেন, ‘ছোট থাকতে বাজারে আকালুকি আওরোর নানান জাতর বড় বড় মাছ উঠতে দেখছি। অনেক দিন ধরি এই রকম আর দেখি না। এত দাম দিয়া মাছটা কিনতাম পারতাম নায়। তবুও মোবাইলে ছবিটা তুলিয়া রাখি।’

মাছ বিক্রেতা একরাম আলীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার কানুনগড় বাজার এলাকায়। পেশায় মৎস্যজীবী একরাম বলেন, হাকালুকি হাওরের জল্লা বিলে বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি তিনি বিক্রির জন্য কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় ২০ কেজি ওজনের মাছটির ৩৫ হাজার টেকা দাম চাইছি। ১৭ হাজার টেকা দাম হইছে। আরেকটু বেশি পাইলে বেচি লাইমু।’

কুলাউড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) তথ্যমতে, বাঘাইড় অতিসংকটাপন্ন প্রজাতির মাছ। এরা রাক্ষসে। বিভিন্ন জাতের ছোট ছোট মাছ ও জলজ প্রাণী খায়। এরা বড় বড় নদী, যেখানে স্রোত বেশি, সেখানে থাকে। বর্ষা শুরুর আগে এরা ডিম ছাড়ে। এ সময়টাতে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় এরা চলে যায়। এ কারণে হাওরে ঢুকে যেতে পারে।