নেত্রকোনার হাওর জনপদের কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বারকে সরকারের গতিশীলতা বাড়ানো প্রশাসনিক কর্ম-তৎপরতা বাড়াতে নতুন বছরে মন্ত্রিসভা রদ-বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত নতুন চার ব্যক্তির মধ্যে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হওয়ার ডাক পেয়েছেন নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার কৃতি সন্তান মোস্তফা জব্বার।
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার নাম দেখে আনন্দের বন্যা বইছে নিজ এলাকা নেত্রকোনাসহ খালিয়াজুরীতে। ইতোমধ্যে জেলার সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মোবাইল ফোনে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন মোস্তফা জব্বারের সঙ্গে। সেই সঙ্গে হাওর পাড়ের অবহেলিত জনপথের মানুষের মাঝে নতুন করে সম্ভাবনার স্বপ্ন জেগে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, হাওরের মানুষের দুঃখ দেখার জন্য কেউ নেই। সম্প্রতি বন্যায় এ অঞ্চলের শত ভাগ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি দেখতে এ অঞ্চলে গত বছর প্রধানমন্ত্রী নিজেই সফর করেছেন এবং সেখানে হাওর রক্ষার জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।
কিন্তু জনপ্রতিনিধি আসে আর যায়। হাওরের মানুষের ভাগ্য আর পরিবর্তন হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রী যেহেতু হাওরের সন্তানকে এতো বড় একটি দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন। তাহলে তার মাধ্যমে হয়তো আমাদের দুঃখ এবার দূর হবে।
খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণণপুর গ্রামের মরহুম পীর আব্দুল জব্বারের ৫ সন্তানের মধ্যে মোস্তফা জব্বার সবার বড়। তার ছোট ভাই কিবরিয়া জব্বার খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। ছোট ভাই রব্বানী জব্বার ঢাকার আনন্দ কম্পিউটারে ব্যবসা করছেন।
মোস্তফা জব্বার মন্ত্রী করার খবর শুনার পর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার, জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, দৈনিক বাংলারনেত্র পত্রিকার সম্পাদক কামাল হোসেন, নেত্রকোনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি শাহীন উদ্দিন আহমেদ, নেত্রকোনা টেলিভিশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, আরজেএফ সভাপতি দিলওয়ার খান, সম্পাদক সুজাদুল ফারাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার শপথ নিতে বঙ্গভবনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল। এছড়া রাজবাড়ীর এমপি কাজী কেরামত আলী। সেই সঙ্গে রয়েছেন মোস্তফা জব্বার।