হাই কোর্টের আদেশের অর্ধ মাস কাটলেও তোয়াক্কা করছে না বরিশাল পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জি.এম

:
: ৭ years ago
পল্লী-বিদ্যুৎ সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের অর্ধমাস কাটলেও বরিশাল পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার হেম চন্দ্র বৈদ্য আমলে নিচ্ছে না অদৃশ্য ক্ষমতাবলে। জানাগেছে, বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমোদনে নির্বাহী পরিচালক এ.জেট.এম সামছুছ জোহা সাক্ষরিত২৭.১২.০০০০.০১৭.৩৩.৬৩৩.১৭-৮৯৪ স্মারক নং এ বাপবিবোর্ডের তত্ত্বাবধানে গ্রাম বিদ্যুৎবিদদের প্রশিক্ষণ প্রদান পূর্বক সনদ দেয়া প্রসঙ্গের বিষয়ে বৈধ ভাবে হয়নি এই মর্মে এক রিট পিটেশনের পেক্ষিতে চলতি মাসের ৫ তারিখ বিচারক মিসেসঃসালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারক মিঃএ.কে.এম. জহিরুল হক স্মারক নং উল্লেখ্য করে প্রশিক্ষণের বিষয় অবৈধ ভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে না তার কারন দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করে তিন মাস কার্যক্রম স্থগিতাদেশ দেয়।

এদিকে বরিশাল পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ জেনারেল ম্যানেজার হেম চন্দ্র বৈদ্যর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি কার্যক্রম চলমানের বিষয় স্বীকার করে বলেন জনস্বার্থে কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। প্রশ্নউঠেছে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ কি জনস্বার্থে নয়! এর পেক্ষিতে তিনি হাই কোর্টের কারন দর্শানোর কাগজ পেয়েছেন তবে স্থগিতাদেশের কাগজ পায়নি বলেও দাবী করেন।

এদিকে একই দিনে স্থগিতাদেশ এবং কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও অদ্ভুত কারনে স্থগিতাদেশেরর কপি পায়নি বলে দায়ভার এড়াতে চায়। তবে প্রশিক্ষণের কার্যক্রম বাপবিবোর্ডের( অঃদঃ)মোঃমাহবুবুল বাশার সাক্ষরিত জারীকৃত দপ্তারাদেশ-এর সিদ্ধান্ত নং-১৯ এর কার্যকরিতা বাতিল করণের অনুলিপি বরিশাল পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ২ গ্রহন করে সুমনার সাক্ষরে এমন টাও এড়িয়ে গিয়ে অবৈধ ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রশিক্ষনের জন্য অফেরতযোগ্য ৪ হাজার টাকা করে নেয়া হলেও কোন বৈধতা নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। মোটা অংকের অর্থের জন্যই হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এদিকে বরিশালে ৩৩ জন প্রশিক্ষন নিলেও বাস্তবে নেই কারোর আনাগোনা অযোগ্যদেরই অর্থের বিনিময়ে জিএম সনদ প্রদান করার পায়তারা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মহামান্য হাই কোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে কৌশলেই কার্যক্রম চালাচ্ছে বরিশাল পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর দায়িত্বরত অসাধু কতিপয়রা।

জেনারেল ম্যানেজারের নির্দেশনা অনুযায়ী এহেন কার্যক্রম চলমান রাখতে হচ্ছে বলেও জানায় দপ্তরের কর্তব্যরত কয়েকজন নাম না প্রকাশের শর্তে। তারা আরো জানায়, চলতি মাসের ৫ তারিখ হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়া সত্ত্বেও ধামাচাপা দিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়ে জি এম কার্যক্রম দ্রুত গতিতে চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে। প্রশিক্ষণ না দিয়েই সনদ প্রদান করার রফাদফা করে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

এছাড়াও জিএম হেম চন্দ্র বৈদ্যর বিগত দিনের গৌরনদী,আগৈলঝড়ায় দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে দূর্ণীতি সহ নানান অপকর্মের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রমানাদির থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে অনুসন্ধানে।প্রায় দশ বছর পূর্বে চাকুরীচ্যুত হওয়া ডিলিং সহকারী পুষ্প’র চাকরিচ্যুতর প্রকৃত ঘটনার তথ্যভিত্তিক সমেদ আগামি পর্বে প্রকাশিত হবে এছাড়াও বর্তমানের নানান অপকর্ম দূর্ণীতি’র সংবাদও আগামি পর্বে পড়তে চোখ রাখুন প্রিয় পাঠক বৃন্দ।