#

রেই আইদার বয়স ১৯ বছর। তাঁর মরণপণ লড়াইয়ের জন্য তিনি এখন অনেকটাই ইন্টারনেট তারকায় পরিণত হয়েছেন। পায়ে আঘাত পাওয়ায় হাঁটু দিয়ে দৌড়ে ম্যারাথন শেষ করেছেন। দৌড় শুরুর পর পা মচকে যায়। প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় দাঁড়াতে পারছিলেন না। কিন্তু পথ শেষ করার দৃঢ় শপথে তিনি দৌড় শেষ করেছেন। উপায় না দেখে হামাগুড়ি দিয়ে বাকি পথ শেষ করেন।

২১ অক্টোবর জাপানের টোকিওতে আইওয়াতানি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় এক ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়। রিলে দৌড়ের এ ম্যারাথনে আইদাও তাঁর দলের সঙ্গে অংশ নেন। দৌড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল) যাওয়ার পরই আইদা আরেক প্রতিযোগীর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। আঘাত পান পায়ে। তাঁর ব্যক্তিগত দূরত্ব শেষ হতে তখনো অনেক পথ বাকি। মচকে যাওয়া পায়েও খোঁড়াতে খোঁড়াতে দৌড়াতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি উবু হয়ে হামাগুড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করেন। র‍্যালি ম্যারাথনে তাঁর সঙ্গীরা এ ধরনের অদম্য মনোভাবে বিস্মিত হয়ে যান।

দৌড় শেষ করার পর আইদাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চার মাস তাঁর চিকিৎসা চলবে।

ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, রেই আইদার হাঁটু রক্তাক্ত। রক্ত ঝরছে। তবুও তিনি এগিয়ে চলছেন। আহত হওয়ায় আইদাকে অনেকেই দৌড় থামাতে বললেও তিনি জবাব দিতে থাকেন আমার সঙ্গী অপেক্ষা করছে। হাতে থাকা ব্যাটন দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমার সহকর্মীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’

আহত হাওয়ার পর ম্যারাথনের আয়োজকেরা আইদার কাছে জানতে চান, ম্যারাথন থেকে সরে যেতে চান কি না। এ সময় আইদা পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, ‘আরও অনেক পথ বাকি, আমার লক্ষ্য থেকে দূরে আছি আমি। আমি থামব না।’ ওই সময় প্রধান বিচারকের সঙ্গে ম্যারাথনের আয়োজকেরা যোগাযোগ করতে না পারায় আইদাকে দৌড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধান বিচারক পরে জানান, ‘ওই অবস্থায় আইদাকে ম্যারাথন থেকে বিরত রাখতে আমার মন সায় দেয়নি। কারণ সে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল তার গন্তব্যে।’ তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল ও ইন্ডিয়া টুডে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন