সাকিব আল হাসানের কন্যা আলায়না হাসান অসুস্থ। একদিকে খেলার চিন্তা, অন্যদিকে মেয়ের অসুস্থতা, সাকিব নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্ত্রী-কন্যাকে দেশে রেখে যাবেন—এমন একটা খবর ছড়িয়েছে কাল রাত থেকে। এই খবরে ভীষণ চটেছেন সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আরব আমিরাতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সাকিব। হঠাৎ কন্যা আলায়না অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্ত্রী-কন্যাকে দেশে রেখে যাবেন। কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে এ খবর প্রকাশিত হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আজ দুপুরে সাকিবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি খবরটা হেসে উড়িয়ে দেন! বাঁহাতি অলরাউন্ডারের উল্টো প্রশ্ন, ‘কারা ছড়ায় এগুলো?’
সাকিব-পত্নী উম্মে আহমেদ নিজের ক্ষোভ আর গোপন রাখতে পারেননি। ভিত্তিহীন খবর প্রকাশিত হওয়ায় তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিজেরে ফেসবুক পেজে, ‘হলুদ সাংবাদিকতার চূড়ান্ত। কিছুই না জেনে তারা গল্প ফাঁদতে পছন্দ করে ও অনেক পাঠক টানার জন্য সেটা বাজারে ছেড়ে দেয়। আর অবশ্যই সেটা হতে হবে সাকিব আল হাসানকে জড়িয়েই। আমার মেয়ে অসুস্থ এশিয়া কাপের আগ থেকে। তবু সে (সাকিব) ঢাকায় যাচ্ছে না, এটা সে ভাবনাতেও আনেনি। এমন আরও অনেক পরিস্থিতি ছিল যখন পরিবারের সঙ্গে তার থাকার দরকার ছিল। পরিবার হিসেবে আমরা এ ত্যাগ স্বীকার করি দেশের জন্য।’
সাকিবের এমন কিছু ত্যাগের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন শিশির। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সবচেয়ে বড় ত্যাগ যদি বলা হয়, ২০১৫ সালের নভেম্বরে দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলায় সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে না থাকাটা। স্ত্রীর প্রসববেদনার খবর পেয়ে দ্রুত রওনা হলেও স্ত্রী-সন্তানের পাশে থাকতে পারেননি। সন্তান জন্মের খবর পেয়েছিলেন দুবাই বিমানবন্দরে। কিংবা এই চলমান এশিয়া কাপে সাকিবের ত্যাগ দেখুন, অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে আঙুলের চোট নিয়ে খেলে যাচ্ছেন টুর্নামেন্ট।
শিশির তাই বলছেন, ‘বোধ হয় ভুল গেছেন প্রথম সন্তানের জন্মের সময় সে আমাদের কাছে ছিল না। দীর্ঘ সময় তাকে ভুগতে হবে, এটি জেনেও এই মানুষটা চোট নিয়ে খেলছে। এর কারণে ওকে যদি লম্বা সময় ভুগতেও হয়, সেটি মোটেও অবাক করার মতো হবে না। সে মোটেও সহানুভূতিপ্রত্যাশী নয়! দেশের শীর্ষস্থানীয় নিউজ পোর্টালগুলো থেকে এ ধরনের আজগুবে খবর প্রকাশ সত্যিই দুঃখজনক। যদি আপনি ভালো কিছু লিখতেই না পারেন, লিখবেন না। একটা ম্যাচের আগে নেতিবাচক খবর প্রকাশ করে একজন খেলোয়াড়ের মনোযোগ নষ্ট করা কখনোই দেশপ্রেমিকের পরিচয় হতে পারে না। আমি এই হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে।’