হরিরামপুরে দুই দিনে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৬০ টাকা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। নতুন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দরপতন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। দুই দিনের ব্যবধানে হরিরামপুরের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রায় ৬০ টাকা। এতে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।

 

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে হরিরামপুরের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের বাজার ঝিটকা বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, নতুন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় পুরনো পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত শনিবারও (৯ ডিসেম্বর) ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।

 

উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিজয়নগরের এক বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার যে মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে, আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে।

ঝিটকা বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শফি জানান, তিনি গত শনিবার ২০০ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ কিনেছিলেন, আজ সেই পেঁয়াজ লোকসানে বিক্রি করছেন। কেজিতে তার লোকসান হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

 

সামসুল হক নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, শনিবার ২০০-২২০ টাকায় বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। গতকাল ১৯০-১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ সকাল থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়।

মোস্তফা নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, এক রাতের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। আজ সরবরাহ বেড়েছে, তাই দামও কমেছে। কাঁচামালের দাম এভাবেই ওঠানামা করে। তবে এতে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত। গতকাল বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ আজ কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। আকাশ, সোহেল, গিয়াসউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। এতে সবাই উপকৃত হবেন।

 

উপজেলার অন্যতম পেঁয়াজ আড়ত ঝিটকা আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ও দেশীয় পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। এখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম অনেক কমেছে। গত শনিবারও যে পেঁয়াজ প্রতি মণ ৮ হাজার টাকায় কিনেছি, আজ সেই পেঁয়াজ ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকায় কিনেছি। দুই দিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।