শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর এলাকা হঠাৎ করে পদ্মা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফ রক্ষা বাঁধের ২০০ মিটার ধসে গেছে। এ ছাড়া বাঁধের পূর্ব পাশে সুরেশ্বর গ্রামের আরো তিন’শ মিটার তীর ধ্বসে গেছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। শুক্রবার রাত থেকে ওই স্থানগুলোতে ধস শুরু হয়। সুরেশ্বর গ্রামের দশটি বসত বাড়ির ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও শরীয়তপুর পানিউন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়,শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ দরবার শরীফ অবস্থিত। সুরেশ্বর দরবার শরীফ ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য ২০১২ সালে ৯০০ মিটার নদীর দক্ষিন তীর রক্ষা বাঁধ নির্মান করা হয়।
শুক্রবার রাতে বাঁধের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে ধ্বস শুরু হয়। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁধের ২০০মিটার নদীতে ধ্বসে পরে। এ ছারা সুরেশ্বর গ্রামের আরো ৩০০ মিটার এলাকার নদীর তীর ধ্বসে পরে। ওই অংশের মধ্যে থাকা ১০টি বসত ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে সুরেশ্বর গ্রামের ২০০ পরিবার। সুরেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়,সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়।সুরেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন,পদ্মা নদী থেকে ৫০ মিটার দুরত্বে বিদ্যালয়টির অবস্থান। অসময়ে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি।
শনিবার দুপুর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরেশ্বর গ্রামে অবস্থান করে দেখা যায় নদীর তীরের মাটি আস্তে আস্তে নীচের দিকে ধ্বসে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তীরে বসবাসকারি মানুষ তাদের বসত ঘর,গাছপালা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
গত দুই বছরে নড়িয়া ও জাজিরায় পদ্মা নদী ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। ভাঙনে দুই উপজেলার প্রায় সাত হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। জাজিরা নড়িয়া পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প ২ জানুয়ারি অনুমোদন হয়েছে একনেকে। ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় ৯ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ ও চর ড্রেজিং করা হবে।
শরীয়তপুর পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন,ওই এলাকাটি ভাঙনপ্রবণ। ওই বাঁধের দুই প্রান্তেই ভাঙন রয়েছে। যার প্রভাব বাঁধের উপর পরেছে। হঠাৎ ধ্বসে পরার বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।