হঠাৎ ইলিশে ভরা বরিশালের মোকাম

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

প্রায় ৪ মাস পর সামুদ্রিক ইলিশে ভরে গেছে বরিশালের মোকাম। তবে স্থানীয় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর কোনো ইলিশ নেই মোকামে। সবই সামুদ্রিক ইলিশ। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়া ট্রলারগুলো মোকামে ফিরে আসায় চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে বরিশাল মোকামে। এতে খুশি জেলে ও মৎস্যজীবীরা। ভবিষ্যতে সমুদ্রে আরও ইলিশ আহরণ হবে বলে আশা করেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও সমুদ্র থেকে সারা বছর কমবেশি ইলিশ আহরণ করা হয়। তবে আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এই তিন মাস ইলিশের প্রধান মৌসুম। গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরতে সমুদ্রে যাওয়া ট্রলারগুলো বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঝপথ থেকেই ফিরে আসে। আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়া ট্রলারগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়েছে। সমুদ্রে যাওয়ার ১২ থেকে ১৫ দিন পর ট্রলার বোঝাই ইলিশ নিয়ে উপকূলে ফেরেন জেলেরা।

বৃহস্পতিবার বরিশাল পোর্ট রোড মোকামে এসেছে ৬টি মাছ ধরা ট্রলার। প্রতিটি ট্রলারে ছিল ১০০ থেকে ১৫০ মণ নানা আকারের ইলিশ।

শুক্রবারও চারটি সামুদ্রিক ট্রলার এসেছে পোর্ট রোড মোকামে। এ ছাড়া পটুয়াখালীর মহিপুর মোকাম থেকে ট্রাকযোগে ইলিশ এসেছে বরিশালে। ইলিশ বিকিকিনিতে ব্যস্ত আড়তদার-শ্রমিকদের কলকাকলিতে মুখর পোর্ট রোড মোকাম।

সমুদ্রে আশাতীত মাছ পাওয়ায় খুশি জেলেরা। আহরিত মাছ বিক্রি করে আবার গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়ার কথা বলেন জেলে মো. গফুর মল্লিক ও মো. রফিকুল ইসলাম। এভাবে সমুদ্রে মাছ পাওয়া গেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালোভাবে দিন কাটানোর আশা তাদের।

পোর্ট রোডের ইলিশ ব্যবসায়ী কাঞ্চন সাহা বলেন, কেবল ইলিশ মৌসুম শুরু হয়েছে। অনেক সামুদ্রিক ইলিশ এসেছে। সমুদ্রের ইলিশ গড়পড়তা ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।

ইলিশ আড়তদার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ৪ মাস পর বরিশাল মোকামে অনেক ইলিশ এসেছে। আগে স্থানীয় বিভিন্ন নদ-নদীর ৪০ থেকে ৫০ মণ ইলিশ আসত মোকামে। গত দুদিনে প্রায় ২ হাজার মণ ইলিশ এসেছে। সামনের দিনে ইলিশ আহরণ বাড়বে ও দামও কমবে বলে আশা করেন তারা।