স্টিফেন হকিংকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি তাঁর। মৃত্যুর পরও মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গেড়ে আছেন। বিখ্যাত এই মানুষের জীবনেও রয়েছে শারীরিক নির্যাতনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আর সে ঘটনা তাঁর ঘরের মধ্যেই।
মাত্র ২১ বছর বয়সেই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবুও হার মানেননি। হুইল চেয়ারে বসেই বিশ্ব জয় করেন। তাঁর এ যুদ্ধ খুব সহজ ছিল না। প্রথম স্ত্রী জেন ওয়াইল্ড পাশে থেকেই তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন। কিন্তু সেই জেনের সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয় হকিংয়ের। এরপর বিয়ে করেন ইলেইন ম্যাসনকে। বিয়ের পরে হকিং বলেন, ‘ব্যাপারটা চমৎকার। যাকে ভালোবেসেছি, তাকেই বিয়ে করলাম।’
তবে জেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ম্যাসনের সঙ্গে হকিংয়ের দাম্পত্য জীবন খুব বেশি সুখের ছিল না। এমনটিই দাবি করেন তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা। কেবল তা-ই নয়, ২০০৩ সালে হকিংয়ের মেয়ে লুসি হকিং পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছিলেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, তার বাবার শরীরে সৃষ্টি হওয়া রহস্যময় ক্ষতচিহ্নের উৎপত্তি কোথায়?
ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে বলা যাচ্ছে, হকিং এই ক্ষতচিহ্ন সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। তবে তাঁর সাবেক সেবিকাদের দাবি, বছরের পর বছর হকিংকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ম্যাসন। তারা জানান, হকিংয়ের কব্জি ঘুরিয়ে মারধর করতেন ম্যাসন। প্রস্রাব করার বোতল চাইলে অনেক সময়ে দিতেন না। ফলে বাধ্য হয়ে পরিধেয় পোশাক ভিজিয়ে ফেলতেন। প্রখর রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাগানে ফেলে রাখতেন হকিংকে। এমনকি রেজার দিয়ে তাঁর গাল কেটে দিয়েছিলেন ম্যাসন।
এ কথা সত্য যে, তাদের ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে ২০০৬ সালে। প্রথম বিয়েটা সহযোগিতাপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় বিয়েটা মোটেই আরামদায়ক ছিল না। ফলে বার বারই এ বিষয়ে বিতর্কের জন্ম হয়েছে।