স্মার্টকার্ড : বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিল ফরাসি প্রতিষ্ঠান

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বাংলাদেশিদের জন্য উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করতে গিয়ে ১৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে ফ্রান্সের ওবার্থুর টেকনোলজিসের (ওটি)। চুক্তি অনুযায়ী নয় কোটি স্মার্টকার্ড নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি করে দিতে না পারায় এ জরিমানা গুণতে হয়েছে। আর এ জরিমানা আদায়ও করা হয়েছে বলে বুধবার রাতে জাগো নিউজকে জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

জানা গেছে, স্মার্টকার্ড-সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান ওবার্থুর টেকনোলজিসের (ওটি) সঙ্গে ৮১৬ কোটি টাকার (১২০ বিলিয়ন) চুক্তি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নয় কোটি ভোটারের জন্য স্মার্টকার্ড উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে তা করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ওই চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়।

কিন্তু ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা পর্যায়ে মাত্র এক কোটি ৯৮ লাখ (১২ দশমিক ২০ শতাংশ) কার্ড পৌঁছাতে পেরেছে। জুন পর্যন্ত তারা ঢাকায় ফাঁকা কার্ড পাঠিয়েছে ছয় কোটি ৬৩ লাখ ছয় হাজারটি। এর মধ্যে পারসোনালাইজেশন হয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ। ব্ল্যাঙ্ক কার্ড দিতে পারেনি দুই কোটি ৩৬ লাখ চার হাজার।

এ পর্যন্ত তারা বিল নিয়েছিল ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। ফ্রান্সের কোম্পানিটি পরে সময় বাড়ানোর আবেদন করলেও কমিশন তা আমলে নেইনি। পরে দেশেই স্মার্টকার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এখন দেশীয় অর্থায়নে প্রকল্পটি চলছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, অবার্থু’র টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নিজেরা কাজ করায় সরকারের ১২৩ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হচ্ছি। এর পাশাপাশি যেহেতু তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাই চুক্তির নিয়ম অনুসারে তাদের যে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা সেটিও আমরা আদায় করেছি। এর জন্য আমরা তাদের কাছ থেকে ১৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করেছি, যা ইতোমধ্যে আমাদের কাছে চলে এসেছে।