স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আলামত নেই, পুলিশ তদন্তে ‘ধর্ষণ’

:
: ২ years ago

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার ঘটনায় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে তদন্ত শেষে ‘ধর্ষণ’ বলে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।

এমনই ঘটনা ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের তেতুরবাড়িয়া গ্রামে।

মামলার বিবরণ ও তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে বের হলে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী আতিয়ার রহমানের ছেলে মাজেদুর রহমান মাজিদ। এ ঘটনার এক মাস ১১ দিন পর গৃহবধূর স্বামী আল আমিন হোসেন সান্টু বাদী হয়ে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার এক সপ্তাহ পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মন্তব্য লেখেন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বারোবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মকলেছুর রহমান তদন্ত শেষে চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, মামলার তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণে ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত মাজেদুর রহমানের ভাই ইউপি মেম্বার রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, আমি পরপর দুবার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার। মামলার ৭ নম্বর সাক্ষী আব্দুল কাদের আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী। আমার সঙ্গে জনপ্রিয়তায় না পেরে আমাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় লোক দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।

তিনি আরও বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মকলেছুর রহমান মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। তিন হাজার টাকা দিয়েছিলাাম, বাকি টাকা না দেওয়ায় আমার ভায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ দেখিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

মামলার বাদী আল আমিন হোসেন সান্টু বলেন, ধর্ষণের সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে বাড়ি এসে জানতে পারি। প্রথমে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিচার না পাওয়ায় আদালতে মামলা করি।

দেরিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এসব বুঝি না। ওসব পুলিশ বলতে পারবে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বারোবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মকলেছুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি দেখা করেননি। একদিন পর মোবাইল ফোনে বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্টে যা উল্লেখ আছে সব আমার লেখা। বিচারাধীন মামলার বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।’ একথা বলেই ফোন কেটে দেন।