স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ই-বর্জ্য- আইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

‘প্রতিবছর বিশ্বে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে ই-বর্জ্য এবং এই বর্জ্য বছরে ৫ শতাংশের বেশি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না। মানুষ ও পরিবেশের জন্য বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেই এখন আইন করে নিয়ন্ত্রিতভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ই-বর্জ্য। বাতিল হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ফটোকপি মেশিন, মাইক্রোওভেন, ব্যাটারি ইত্যাদি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম যৌথভাবে ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আইনি কাঠামো: পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক এক সেমিনারের এসব কথা বলা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ কে এম মাকসুদ।

একেএম মাকসুদ তার প্রবন্ধে বাংলাদেশের পৌর বর্জ্য ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত মানুষ ও তাদের অমানবিক জীবন, জাতীয় অর্থনীতিতে বর্জ্যজীবী, ময়লার ভ্যান কর্মী, সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী ও রিসাইক্লিং কর্মীদের অবদান, পৌর ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান আইনি কাঠামো এবং পৌর ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভবিষৎ উন্নয়নের জন্য আইনি কাঠামোতে সুনির্দিষ্টভাবে কী কী থাকা প্রয়োজন তা তুলে ধরেন।
সেমিনারে বলা হয়, ই-বর্জ্য যে কোন সাধারণ পৌর বর্জ্য থেকে অধিক ক্ষতিকর। সঠিক ও নিরাপদভাবে ই-বর্জ্য না ফেলা হলে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। ই-বর্জ্যে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ যেমন লেড, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, ব্রমিনেটেড ফ্লেম রির্টাডেন্ট, বেরিলিয়াম, এন্টিমনি, পলিভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি), মার্কারী বা পারদ, আর্সেনিক, পলিক্লোরিনেটেড বাইফিনাইল (পিসিবি) ইত্যাদি মাটি, পানি ও বাতাসের সাথে মিশে মানুষের ক্ষতি করে।

সভায় জাননো হয়, ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটির স্টেপ ইনিশিয়েটিভের তথ্য মতে , ২০১২ সালে বিশ্বে ৪৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন এবং ২০১৬ সালে ৯৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে। বাসস।