স্বামীর নির্যাতনে দেড় মাসের সন্তান রেখে পরপারে মা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্বামীর নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে মুন্নী বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর মত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পর থেকে মুন্নীর স্বামী ইয়াইদ আলী (২৫) পলাতক রয়েছেন। মুন্নী উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের দানাপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হালিমের মেয়ে।

স্থানীয় ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মৃত শফত আলীর ছেলে ইয়াইদ আলীর সঙ্গে এক বছর আগে মুন্নীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মুন্নীকে নির্যাতন করতেন ইয়াইদ আলী।

মুন্নী নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রায় সময় বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে স্বামীকে দিতেন। দেড় মাস আগে তাদের ঘরে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।

দু’দিন আগে ইয়াইদ টাকা দাবি করে স্ত্রীকে আবার শারীরিক নির্যাতন করেন। এতে মুন্নী অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভাইয়েরা তাকে (মুন্নীকে) উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুন্নীর অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে মুন্নীর মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর ও কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসানসহ পুলিশ সদস্যরা গৃহবধূর বাবার বাড়িতে যান।

মুন্নীর ভাই মঈন উদ্দিন ও জসীম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ইয়াইদ সম্পর্কে তাদের ফুফাতো ভাই। সে কোনো কাজকর্ম করত না। বেকার থাকায় আমাদের মাংস ব্যবসার দোকানে ইয়াইদকে কাজে লাগালেও কিছুদিন পর সে আর কাজে যেত না। বিয়ের পর সে প্রায়ই আমাদের বোনকে টাকার জন্য মারধর করত।

কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর বলেন, ওই গৃহবধূর লাশ সুরতহাল শেষে ময়ানতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।