স্বামীর ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গেল গৃহবধূর শরীর

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

জয়পুরহাটে যৌতুকের দাবিতে কলহের জেরে স্বামীর ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গেছে সুরাইয়া আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর শরীর।

 

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কালাই উপজেলার তালোড়া বাইগুনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুরাইয়া আক্তার একই গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী ও ভ্যান চালক আসমান ফকিরের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুরাইয়া ও সুমন মিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয় পরিবারের সম্মতিতে প্রায় এক বছর আগে সুরাইয়া-সুমনের মিয়ার বিয়ে হয়।

 

তখন যৌতুক হিসেবে সুমনকে এক লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বেশ কিছু আসবাবপত্র দেয় সুমাইয়ার পরিবার। তবে, বিয়ের পর থেকে সুমন আরও যৌতুক দাবি করেন।

ছয় মাস আগেও সুরাইয়া তার বাবার নিকট থেকে আরও কিছু টাকা এনে দেন। কিন্তু দুই মাস আগেও সুরাইয়ার কাছে আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন সুমন। সেই টাকা দিতে না পারায় সুরাইয়াকে মারপিট করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন সুমন।

 

পরবর্তীতে এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুরাইয়া পুনরায় সুমনের বাড়িতে আসেন। তবে সুমন অনবরত সুরাইয়াকে তার বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসতে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সুরাইয়া স্বামীর বাড়িতে ভাত রান্না করছিলেন। এ সময় যৌতুকের টাকা আনছে কি না জানতে চাইলে সুরাইয়া অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুরাইয়ার শরীরে ভাতের গরম পানি ছুড়ে মারেন সুমন। এতে ওই গৃহবধূর পা, পিঠ ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।

সুরাইয়া চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে সুরাইয়ার বাবা-মা ঘটনাস্থলে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

 

সুমন মিয়া বলেন, রাগের মাথায় স্ত্রীর গায়ে গরম পানি ছুড়ে মেরেছি।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তবে, এখনো কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।