ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ১৩ বছর বয়সী কিশোরী স্বর্ণা দাসকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে কূটনৈতিক পত্র প্রেরণের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদ নোটে বাংলাদেশ এ ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সীমান্ত হত্যার এই ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযৌক্তিক।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, গত রোববার রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী স্বর্ণা। পরে তার মরদেহ বিএসএফ নিয়ে যায়। এর ৪৫ ঘণ্টা পর তার মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারত।
স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস গণমাধ্যমকে জানান, তাদের চার ছেলে-মেয়ে। এক ছেলে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরায় থাকেন। ছেলেকে দেখতে তার স্ত্রী সঞ্জিতা ছোট মেয়ে স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে রোববার রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এক দম্পতিও ছিলেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।