“স্বরূপকাঠীর প্রতিবন্ধী জিসান ও তার পরিবারের মানবেতর জীবন, দেখার কেউ নেই”

:
: ৪ years ago

বিশেষ প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের আকলম এলাকার বাসিন্দা মোঃ তকদির হোসেন। স্ত্রী মাহিনুর বেগম ও ৫ সন্তানের পরিবার তার। পেশায় তকদির হোসেন একজন দিনমজুর। তকদির হোসেন ও মাহিনুর বেগমের তৃতীয় সন্তান জিসান।

আর সব শিশুর মতোই স্বাভাবিক জন্ম নিয়েছিলো জিসান। জন্মের এক বছরের মাথায় টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয় ছোট্ট শিশু জিসান। এরপর দিনমজুর পিতার অপারগতা আর সুচিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে সে শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে যায়। আজ জিসানের বয়স ১৮ পেরিয়েছে কিন্তু সে বিছানায় প্রতিবন্ধী হয়েই কাটালো ১৮ বছর।

তকদির হোসেন একটি ছোট্ট টিনের ঘর যার দরজা, জানালা, চালা, কোনকিছুরই ঠিক নেই। দেখলে মনে হবে পরিত্যক্ত। এলাকার ধনকুবের, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি কেউই একটিবার খোজ নেয়নি প্রতিবন্ধী জিসান বা তার দিনমজুর পিতার। অনেক কষ্টে তকদির হোসেন ঢাকা গিয়ে সমাজকল্যানের একটি প্রতিবন্ধী কার্ড সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রতিমাসে মাত্র ৩৫০টাকা ভাতা পায় যা তার মাসিক ওষুধ খরচের চাইতেও কম। মৌলিক চাহিদার কোনকিছুই পূরন হয়না জিসানের।

করোনাকালীন সময়ে তকদির হোসেনের পরিবারে নেমে আসে আরও দুর্ভোগ। তার আয় রোজগার না থাকায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পায়নি কোনরকম ত্রান সহায়তাও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এলাকার কাউন্সিলরও একবার খোজ নেয়নি পরিবারটির। চেয়ারম্যান, মেয়র এতো জনপ্রতিনিধি থাকতেও এরকম মানবেতর জীবন যাপন করছে পৌরসভার মানুষ, সত্যিই দুঃখজনক।

আকলম এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম এর আহ্বানে বরিশাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজ্ঞা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক টিম জিসান ও তার পরিবারের খোজ নিতে আসে এবং সাধ্যমতো সহযোগিতা করে।
কিন্তু সাময়িক নয় দরকার স্থায়ী সমাধান।
তাই গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং জনপ্রতিনিধি সহ সরকারি কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি পরিবারটিকে পরিপূর্ন সহযোগিতার করার জন্য।