স্বরূপকাঠিতে জমে উঠেছে ভাসমান তরমুজের হাট

:
: ২ years ago

স্বরূপকাঠির মিয়ারহাট সংলগ্ন কালীবাড়ি খালে জমে উঠেছে তরমুজের হাট। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার বসে এই হাট। গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়ানো শত শত নৌকা আর ট্রলারে সাজানো রয়েছে থরে থরে তরমুজ। সেখানে বিকিকিনির মধ্যে নান্দনিক এক দৃশ্য উপভোগ করছে মানুষ।

প্রতিবছর তরমুজের মৌসুমে জমে ওঠে ঐতিহ্যবাহী এই ভাসমান হাট। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন এই হাটে। এ হাট থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোটি টাকার তরমুজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে চালান দেওয়া হয়।

মিয়ারহাট বন্দরের ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ জানান, এই হাট থেকে সড়ক ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চালান দেওয়া হয়। পাইকারদের পাশাপাশি আসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও।

তরমুজ নিয়ে হাটে আসা চরফ্যাসনের হুমাউন কবির ও গলাচিপার মনজুর আহসান জানান, এবার তরমুজের ফলন ও সাইজ ভালো হয়েছে। তরমুজের দাম ভালো পাওয়ায় গত বছরের করোনাকালীন আর্থিক ক্ষতিও অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তারা।

তরমুজের ভাসমান হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের প্রতি ১০০ তরমুজ ৩০ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজেরগুলো ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা এভাবে তরমুজের আকার অনুসারে নির্ধারণ করা হয়েছে দাম।

সংশ্নিষ্টরা জানান, এই হাটের মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয় প্রতি মৌসুমে। চৈত্র থেকে আষাঢ় মাস ভরে চলে এই হাট। ব্যবসায়ীদের জন্য হাটের পরিবেশ অনুকূলে রাখতে সব ব্যবস্থাই থাকে। এতে তারাও বেশ খুশি। সবুজ তরমুজের থরের ফাঁক গলে উঁকি দেওয়া চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রাণবন্ত হাসিও বলছে সেই কথাই।