রূপকাঠিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারেফ হোসেনের বিরুদ্ধে ভাষা শহীদ বেদিতে ফুল দিতে বাধা দেয়া, নারী প্রতিনিধি হিসাবে অবমূল্যায়ন করা, সদস্য পদ বাতিল সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় ভিডিএস মিলনায়তনে ওই সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেনের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের প্রধান চেয়ারম্যান তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাতে তিনি নদীর পশ্চিম পারে এবং সকালে পূর্ব পাড়ে ফুল দিবেন।
সেখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদের পক্ষে ফুল দেওয়ার সুযোগ কোথায়। তবে আলাদা ভাবে তাকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ফুল দেওয়ার আহ্বান জানোর আগেই তিনি চলেগেছেন।
নার্গিস জাহান তার বক্তব্যে আরো বলেন, যুব মহিলা লীগের সমাবেশ করার জন্য হল পাওয়ার জন্য আবেদন করেও হল পাননি। এ বিষয়ে ইউএনও বলেন তার আগেই একই দলের অন্য এক নেত্রী একই কাজের জন্য হল চেয়েছিলেন।
যেহেতু দুজনের মধ্যে দলীয় কোন্দল রয়েছে বিষয়টি উপজেলা আওয়ামীলীগের
সভাপতি সম্পাদকের মতামত নিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কাউকেই হল
দেওয়া হয়নি।
বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ৬ লাখ টাকার চাঁদর ও শীতবস্ত্র কেনার বিষয়ে উপজেলা পরিষদকে না জানানো, ঘর নির্মান কাজে বরাদ্ধের অতিরিক্ত টাকা ব্যায় করা, ঘর নির্মানের বিষয়সহ উন্নয়ন কাজের বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয় না।
এমন কি তাকে ওই সদস্য পদ থেকে অপসারনেরও চেষ্টার অভিযোগ আনেন। এসব অভিযোগ সম্পর্কে ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, উপজেলা পরিষদকে অবহিত না করে কোন উন্নয়ন কাজ করার সুযোগ নেই।
সব কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকে। ওই নির্দেশনার আলোকে কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাব দেন তিনি।
এক প্রশ্নে জবাবে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবকে জানানো হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি।
সংবাদ সম্মেলনতো চেয়ারম্যান সাহেবের করার কথা তিনি নেই কেন। এমন প্রশ্নর জবাবে তিনি জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়কে সংবাদ সম্মেলনের বিষযে জানানো হযেছিল।
তাকে থাকতেও অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি থাকেননি। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান মো. আব্দুল হক বলেন, সব উন্নয়ন কাজই সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কারো নেই।