বিশ বছরে আগে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে এনে পালিয়েছে সাবেক স্বামী ফজলুল হক। তাই বিয়ের দাবীতে অনশন করছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার সোহাগদল গ্রামের হাওলাদার বাড়ি নামক স্থাণের ফজলুল হকের ৫০ উর্ধ প্রথম স্ত্রী।আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন বিরল ঘটনায় স্থাণীয় সংবাদকর্মীরা উক্ত ফজলুল হকের ঘরে গেলে সামনের রুমেই দেখা মেলে তার প্রথম স্ত্রীর।
এব্যাপারে ফজলুল হকের সাবেক এই স্ত্রী জানায়, তাদের সংসার চলাকালিন স্বামী ফজলুল হক প্রেমে পড়ে একই উপজেলার সুটিয়াকাঠী গ্রামের এক মেয়ের। তখন তাদের সংসারে এক ছেলেও ছিল।কিন্তু নতুন প্রেমের কারণে সংসারের দেখভাল করতনা ফজলুল হক। এক পর্যায় ভাইরে সাথে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাবার বাড়ি বানারীপাড়ার লবনসারায় পাঠিয়েদেয় শ্বশুর ও তাদের আশপাশের লোকজন। পরে জানতে পারে তাকে গোপনে তালাক দিয়েছে ফজলুল হক।সেই থেকে বিশ বছর পরে উভয় পরিবারে নাতি নান্তি হওয়ার পর ফজলুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী পরলোক গমন করায় পুনরায় প্রথম স্ত্রীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ শুরু করে। এক পর্যায় প্রথম পক্ষের ছেলে ও ছেলে বউয়কে ম্যানেজ করে তার প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
সে অনুযায়ী শেষ বয়সে সাবেক স্বামীর সংসারে আসেন তিনি।কিন্তু পথিমধ্যে ফজলুল হক তাকে যৌন হেনস্থাও করেন যা সহ্য করেন এই নারী। ঘরে তুলেও রাখেন সকাল থেকে রাত্র ৮ টা পর্যন্ত। কিন্তু হঠাৎ মত পাল্টান ফজলুল হক। তাকে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়েদেন।এনিয়ে স্থাণীয় ভাবে বিচার বৈঠকও হয়েছে কিন্তু সে বিচারও মানেনি ফজলুল হক। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফজলুল হকের ঘরে বিয়ের দাবী অনশন করছেন এ বৃদ্ধা। এব্যাপারে এলাকাছাড়া ফজলুল হক মুঠো ফোনে জানায়, আমি পাপ করেছি তার খেসারত দিচ্ছি।