সাকিব আল হাসান আছেন। বাঁহাতি স্পিন আক্রমণের কাজটা তাকে দিয়ে চালিয়ে নেওয়া যাবে অতি সহজেই। তারপরও তানভীর ইসলামকে নিয়ে বিশ্বকাপের বিমান উঠতে যাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। দুই বাঁহাতি স্পিনারই নন, দলে আছেন শেখ মাহেদী ও রিশাদ হোসেনও। হিসেব করলে, চার স্পিনার রয়েছে পনের জনের স্কোয়াডে। যোগ করা ভালো, তানভীর বাদে বাকি তিনজনেরই রয়েছে ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য। ফলে তাদের স্পিন অলরাউন্ডার বলতে দ্বিধা নেই কোনো।
সাকিব ও মেহেদী এই জায়গায় পরীক্ষিত। রিশাদ নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে। এখন বড় মঞ্চে মেলে ধরার অপেক্ষা। বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ চার ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে খানিকটা দ্বিধা থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবে তা বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলেছেন সাবেক স্পিনার ও বর্তমানে নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আব্দুর রাজ্জাক।
২০০৭ ওয়ানডে এবং ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই এমন কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া আইসিসির ইভেন্ট হওয়াতে স্পিন ও পেস আক্রমণে ভারসাম্য থাকবে। মঙ্গলবার রাজ্জাক বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্বাভাবিকভাবে স্পিনাররা একটু বেশি সুবিধা পায়। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। খুব স্বাভাবিকভাবে আইসিসি দেখবে উইকেটের ব্যাপারটা। তাই খুব যে বেশি সুবিধা পাবে তা না। তবুও আবাহাওয়ার কারণে স্পিনাররা একটু সুবিধা পাবে।’
সাকিবের সঙ্গে তানভীরকে রাখায় বিস্মিত হয়েছে অনেকেই। তবে নির্বাচকদের তাকে নিয়ে ভাবনা পরিস্কার, ‘টিম কম্বিনেশন এবং প্রতিপক্ষ বিবেচনায় যে কেনো সময়ে যে কাউকে দরকার হতে পারে। নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের দলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেশি। এ সময়ে বাঁহাতি স্পিনার বেশি প্রয়োজন হতে পারে। আমাদের সবার জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। সে দিকটা ভেবেই তানভীরকে রাখা।’
পাশাপাশি পেসার হিসেবে সৌম্যকেও ব্যবহারের কথা বললেন রাজ্জাক, ‘সৌম্যর ব্যাপারটা হল টি-টোয়েন্টিতে যতবেশি অলরাউন্ডার থাকবে তাতে অধিনায়কের জন্য সুবিধা হবে। সে যদি তিন দুই ওভার করে বা এমনও হতে পারে চার ওভারও করতে হতে পারে।’