যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মো. আল মামুন এ দিন ধার্য করেন। রোববার সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক তাহমিনা রহমান নয়জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি শওকত আলী ইমন একজন যৌতুকলোভী ও মারমুখী লোক। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রিদিতা রেজাকে বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকে আসামি ইমন তার স্ত্রী রিদিতা রেজার কাছে যৌতুক দাবি করে তাকে মারপিট ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ পায়। তার ধারাবাহিকতায় একই বছরের ৩ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামি ইমন তার রমনা থানার ইস্কাটন গার্ডেনের বাসায় পুনরায় বাদীনীর কাছে যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। স্ত্রী রিদিতা রেজা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে আসামি ইমন তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেন।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, তদন্তকালে সাক্ষ্য প্রমাণে ও বাদীনীর জখমের চিকিৎসকের সনদপত্র পর্যালোচনা এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩/এর ১১(গ) ধারায় মামলাটির প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে শওকত আলী ইমনের স্ত্রী রিদিতা রেজা বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি করেন। এরপর একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ইস্কাটনের বাসা থেকে শওকত আলী ইমনকে গ্রেফতার করে রমনা থানা পুলিশ। পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর আসামি ইমনের জামিন দেন আদালত।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংবাদ পাঠিকা রিদিতা রেজাকে বিয়ে করেন শওকত আলী ইমন। এটি তার তৃতীয় বিয়ে ছিল। ২০১৩ সালে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ক্যাটাগরিতে ইমন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।