বগুড়ার কাহালুতে স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে পালানোর সময় স্বামী মো. জুয়েলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পিরাপাট ফকিরপাড়া থেকে গৃহবধূ সানজিদা আক্তারের (১৯) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জুয়েল পিরাপাট গ্রামের সাহিদুল ইসলামের ছেলে। সানজিদা বগুড়া সদর উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অথবা তাকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ মাস আগে জুয়েল ও সানজিদার বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রী ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। সেই টাকার কিছু অংশ সানজিদার শাশুড়ি ও স্বামী খরচ করেন। এসব নিয়ে রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়।

পরে সকালে সানজিদার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু এর আগেই জুয়েল পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জুয়েলকে ধরে নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিটু চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রী ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। পরে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা কেউ বলতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, সানজিদার লাশ ঘরে রেখে তার স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যান। এ কারণে অনেকের সন্দেহ হচ্ছে সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে।

কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, সানজিদা নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।